নারায়ণগঞ্জে বাসের ধাক্কায় নিহত ১, চালক-হেলপারকে গণপিটুনি

৩ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার এক যাত্রী নিহত হয়েছেন ও দুজন আহত হয়েছেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি ভাঙচুর করে চালক ও হেলপারকে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে আটক করে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে মৌমিতা পরিবহনের ঢাকগামী একটি বাস বেপরোয়া গতিতে এসে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশার পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এ সময় অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে গেলে যাত্রী মোজাম্মেল হক, আনিছুর রহমান ও চালক রানা বাবু গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে শহরের খানপুরে ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মোজাম্মেল হককে মৃত ঘোষণা করেন এবং আহত দুইজনকে চিকিৎসা দেয়া হয়।


দুর্ঘটনার পর পর বিক্ষুব্ধ জনতা মৌমিতা পরিবহনের বাসটি ভাঙচুর করে এবং চালক ও হেলপারকে গণপিটুনি দেয়। বাসের সিট বের করে এনে রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ তাদের আটক করে এবং নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহরের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।


আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩


জানা গেছে, নিহত মোজাম্মেল হক (৫৫) ফতুল্লার সস্তাপুর জেলখানা এলাকার বাসিন্দা। এছাড়া আহতদের মধ্যে আনিছুর রহমান (৩৫) সিদ্ধিরগঞ্জের ২ নম্বর ঢাকেশ্বরী এলাকায় এবং অরিকশা চালক রানা বাবু (৪৫) ফতুল্লার কায়েমপুর এলাকায় থাকেন।


এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার পর পর বিক্ষুব্ধ জনতা মৌমিতা পরিবহনের বাসটির চালক ও হেলপারকে মারধর করে আমাদের হাতে তুলে দিয়েছে। তাদেরকে আটক করা হয়েছে এবং বর্তমানে তারা পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এছাড়া নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় যথাযথ আইনগত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন