সম্প্রতি সময় সংবাদের সরেজমিন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
২০২১ সালে মেয়াদের শেষ সময়ে ১৪১ জনকে নিয়ম-নীতি লঙ্ঘন করে নিয়োগ দিয়ে চরম বিতর্কে পড়েন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আবদুস সোবহান। তাই তার মেয়দকালে দুর্নীতির ফিরিস্তি খুঁজছে দুদক।
একইভাবে শেষ কর্মদিবসে অবৈধভাবে ৫০ জনকে চাকরি দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য শিরিন আখতার। অনুষ্ঠানের নামেও ৬৩ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনাও সমালোচনার খোরাক জোগায় তার কর্মকাণ্ডে।
আর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে সাবেক উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ও একেএম নুরুন্নবীর বিরুদ্ধে। এছাড়া বেশ কয়েকটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির খোঁজে মাঠে নেমেছে দুদক।
দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন জানান,
সব অভিযোগই গুরুত্বের সঙ্গে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। অনুসন্ধান দল অভিযোগ প্রমাণে সহায়ক রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করছে। যাদের বিরেুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে; তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন অনুসন্ধান দলের সদস্যরা।
দুর্নীতিবিরোধী জাতীয় সমন্বয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার ওয়াদুদ চৌধুরী জানান, উপাচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও অতীতে নিশ্চুপ ছিল দুদক।
তিনি আরও বলেন,
বর্তমানে যেসব অভিযোগ উপাচার্যদের বিরুদ্ধে আসছে, আমি মনে করি দুদকের উচিত হবে শক্ত আইয়ু নিয়োগ করে, তাদের যথাযথ অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত করে সেটির প্রতিবেদন দেশবাসীর কাছে তুলে ধরা।
কতিপয় শিক্ষক নামধারী দুর্নীতিবাজের কারণে সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা কলুষিত হচ্ছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান।
তিনি বলেন,
অল্প কিছু মানুষের জন্য গোটা কমিউনিটির ওপর দায় পড়ছে। একজন শিক্ষক হিসেবে আমি মনে করি, এ ধরনের দায় থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য হলেও, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
এরইমধ্যে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য রফিকুল ইসলাম ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মোরশেদ আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।