এমন ঘটনায় পরপরই ওসির নিরপেক্ষতা ও মান নিয়ে জেলাজুড়ে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনা। আর সমালোচনা ছড়িয়ে পড়তেই রাতেই সেই যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার দেখালেন পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানায় মাসিক খানাপিনার আয়োজন করে থানা পুলিশ। ওই অনুষ্ঠানে থানা পুলিশ সদস্য, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন নাওডোবা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আলমগীর হোসেন সরদার, যুবলীগের সভাপতি মোক্তার বেপারীসহ অন্যরা।
এমন একটা ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
দেখা যায়, থানার মধ্যে পুলিশের আয়োজিত অনুষ্ঠানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠনের নেতার উপস্থিত হওয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে আলোচনা সমালোচনা। এদিকে সমালোচনার পর পর রাতেই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোক্তার বেপারীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ৮ মাসে ২৬ খুন, জনমনে আতঙ্ক
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আহমেদ সেলিম বলেন, ‘আমাদের নিয়মিত ভোজ অনুষ্ঠানে মোক্তার বেপারী নাওডোবা বাজার কমিটির সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। পরে জানতে পারি তিনি যুবলীগের নেতা। এরপর সার্কেল স্যারের নির্দেশে তাকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে।’
তাকে কোন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, মোক্তার বেপারীকে নাওডোবা ইউনিয়নে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাকে আজ সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যে কাউকেই গ্রেফতার করতেই পারি যদি মনে হয় সে কোনো অপরাধের সাথে জড়িত আছে। আর ওসির বিষয়ে আমরা খতিয়ে দেখছি, উনি যদি কোনো দোষ করে থাকেন উনার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’