দার্জিলিংয়ে সেতু ধসে ৬ জনের মৃত্যু, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা

৫ দিন আগে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে মিরিকে একটি লোহার সেতু ভেঙে পড়ে অন্তত ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে একাধিক রাস্তায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, কার্শিয়ংয়ের কাছে জাতীয় সড়ক ১১০-এর পাশে হুসাইন খোলা এলাকায়ও ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ভূমিধসের খবর পাওয়া গেছে।

 

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর রোববার সকাল পর্যন্ত দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস জারি করেছিল। এমন পরিস্থিতিতে রেড অ্যালার্টও জারি করা হয়েছিল।

 

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তি’, মহারাষ্ট্রে রেড অ্যালার্ট জারি

 

ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানিয়েছে, আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় শক্তি কারণে দার্জিলিং ও পার্শ্ববর্তী আলিপুরদুয়ারে সোমবার সকাল পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

 

গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বিশেষ করে বাঁকুড়ায় সর্বোচ্চ ৬৫.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দার্জিলিং ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সতর্কতা অব্যাহত রয়েছে।

 

আরও পড়ুন: ভারতে ‘আই লাভ মোদি’ বলা গেলেও ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বলা যায় না: ওয়াইসি

 

ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিযেছে, সোমবার (৬ অক্টোবর) ঝড়টি পূর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে পুনরায় বাক নিয়ে ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আইএমডি তাদের পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মহারাষ্ট্র উপকূল বরাবর আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাতাসের গতি ঘণ্টায় ৪৫-৫৫ কিলোমিটার এবং থেকে থেকে তা ৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠতে পারে।

 

আগামী ৬ অক্টোবরের পর ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে গেলেও এটার প্রভাবে সৃষ্ট বাতাস ও বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন