তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পক্ষে চবিতে মশাল মিছিল

২ সপ্তাহ আগে
তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের পক্ষে মানববন্ধন ও মশাল মিছিল করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রংপুর ডিভিশন স্টুডেন্টস ইউনিট। রোববার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে এ মানববন্ধন শুরু হয়।

এ সময় 'জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই'; 'আগ্রাসনের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে'; 'উত্তরে এই বৈষম্য, মানি না-মানবো না'; 'দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা', 'তোমার আমার ঠিকানা, তিস্তা-তিস্তা'; 'তিস্তার পাড়ের কান্না, আর না-আর না' ইত্যাদি স্লোগান দেন।


মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে উপস্থিত ছিলেন চাকসুর নব নির্বাচিত জিএস সাঈদ বিন হাবিব, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক মো: ইসহাক ভূঁইয়া এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক রাসেল আহমেদ, সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কৌশিক আহম্মেদ, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক হারেজুল ইসলাম হারেজ, সহ-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক জিহাদ হোসেন, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক ফজলে রাব্বি, দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদক তাহসিনা রহমান, ছাত্রদলের মো. শাফায়েত হোসেন, বাংলদেশে ইসলামী ছাত্র মজলিসের সভাপতি সাকিব মাহমুদ।


মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী হুমায়ুন বলেন, 'একবার নয়, দুইবার নয়। কখনো কখনো ছয়বারের মতোও বন্যা হয়। কিন্তু মিডয়ায় খুব একটা ফোকাস হয় না। বন্যার কারণে আমরা কৃষি হতে শুরু করে কোনোদিকে সুবিধা করতে পারি না। আমরা বন্যায় কাঁদি, খরায়ও কাঁদি।'


মাহাবুবুল হাসান বলেন, 'উত্তরবঙ্গের ২ কোটি মানুষের কাছে এটি সাধারণ একটি নদী হলেও, আমাদের আনন্দ-বেদনা, শিল্প-সংস্কৃতির অংশ। কিন্তু এটি সবসময় স্বাভাবিক থাকে না। বর্ষা মৌসুমে আমাদের মায়েদের চোখের পানি বাড়তে থাকে, বাবাদের হাহাকার দেখি আমরা। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন আমাদের জন্য একটি প্রতিশ্রুতি। চলতি বছরের নভেম্বরের মধ্যেই তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।'


আরও পড়ুন: তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাবিতে মশাল মিছিল


জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের সংগঠক রাসেল আহমেদ বলেন, 'আমরা আজ এখানে সমবেত হয়েছি শুধু একদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের কারণে নয়। আমাদের উত্তরবঙ্গের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বারবার অবদমিত হয়ে এসেছে। আমরা এ নিয়ে বারবার কথা বলে এসেছি। কিমতু বাংলাদেশের কোনো সরকার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। কারণ তারা বরাবরই ভারতের গোলামি করে এসেছে। কোনো সরকার যদি ভারতের গোলামি করতে চায় আমরা তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দেবো।'


সাঈদ বিন হাবিব বলেন, 'আমরা দাবি জানাচ্ছি, তিস্তা মহাপরিকল্পনার যে খসড়া তৈরি করা হয়েছে, তার রোডম্যাপ অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় জনশক্তি দ্রুত নিয়োগ দিতে হবে। ইন্টারিম সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি- ১৯৭১ সাল থেকে ভারত সরকারের সঙ্গে যে সকল চুক্তি হয়েছে, তা দেশের মানুষের সামনে প্রকাশ করতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী সব চুক্তি বাতিল করে কেবল জাতীয় স্বার্থে গৃহীত চুক্তিগুলো বহাল রাখতে হবে। এছাড়া ভারতের নির্মিত সব বাঁধ ভেঙে বাংলাদেশের নদীগুলোকে উন্মুক্ত করার দাবি জানাচ্ছি। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশের প্রশ্নে আমরা সবাই এক, চাকসু এক ও ঐক্যবদ্ধ থাকব।'


এ সময় তারা অনতিবিলম্বে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানায়। পরবর্তীতে তারা মশাল প্রজ্বলন করে মিছিল নিয়ে জিরো পয়েন্টে যায়।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন