বুধবার (৬ আগস্ট) মুঠোফোনে সময় সংবাদকে এই তথ্য জানান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর। ওই বৈঠকে তিনিও উপস্থিত ছিলেন।
হুমায়ুন কবির জানান, আলোচনা ছিলো সৌজন্যমূলক। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, তারেক রহমানের ভাবনা, উনি যদি নির্বাচিত হন তাহলে দেশ নিয়ে পরিকল্পনা- এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন ব্যক্তিগতভাবে তারেক রহমানের সঙ্গে পরিচিত হতে এসেছিলো বলে জানান হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, তারেক রহমান ১৫ বছর কীভাবে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, হাসিনাকে বিতাড়িত করার জন্য কীভাবে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন সেই গল্প শুনেছেন রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: ঐক্যবদ্ধ থাকুন, মুখ দেখাদেখি যেন বন্ধ না হয়: তারেক রহমান
তারেক রহমান এখন বাংলাদেশের সিনিয়র মোস্ট পলিটিক্যাল লিডার। পৃথিবী তাকিয়ে আছে আগামী নির্বাচনে উনার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দিকে। গত ১৫ বছর এত প্রতিকূলতার মধ্যেও লন্ডন থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। একটা পরিণতির দিকে নিয়ে এসেছেন। এজন্য তাকে নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে আগ্রহ তৈরি হচ্ছে।
জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এবছরেই মধ্যেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন বলে জানান হুমায়ুন কবির। তিনি বলেন, নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হবে সেটা তো ঘোষণা হয়েই গেছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে নভেম্বর ডিসেম্বরে তফসিল হবে। তাহলে তো তিনি এই বছরই ফিরবেন।
তারেক রহমান ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে (লন্ডন) যান। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বহু মামলার আসামি হন তিনি। এগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটিতে সাজাপ্রাপ্তও হন। এসবের মাঝে গত প্রায় ১৭ বছর ধরে তিনি লন্ডনে রাজনৈতিক নির্বাসনে আছেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে আইনি জটিলটা কেটে গেছে বলেই প্রতিয়মান হয়। গত জুনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডনে তারেক রহমানের সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকের পরই জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় হিসেবে ফেব্রুয়ারির প্রথমাংশের কথা সামনে আসে।গতকাল জাতির উদ্দেশে ভাষণে একই কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তারেক রহমানের দল বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলে আসছেন তিনি যেকোনো সময় দেশে ফিরে আসতে পারেন। যদিও নির্দিষ্ট কোনো তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।