সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ইপিবির কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ১৪৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) আব্দুর রহিম খান, বিজিএমইএ সভাপতি মাহমুদ হাসান খান এবং মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কামরান তানভীর রহমান।
সভায় ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের মেলা ক্যালেন্ডার এবং ২০২৬-২০২৭ অর্থবছরের আংশিক মেলা ক্যালেন্ডার অনুমোদন দেয়া হয়। একই সঙ্গে রফতানিমুখী শিল্প ও উৎপাদকদের বৈশ্বিক বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আসন্ন নভেম্বর মাসে ‘সোর্সিং বাংলাদেশ ২০২৫’ মেলা আয়োজনের অনুমোদন দেয়া হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ‘দেশের বাইরে আয়োজিত প্রতিটি মেলার আগে আমাদের বিশ্লেষণ করা দরকার। যেখানে বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ আছে সেখানে কার্যকরভাবে অংশ নিতে হবে। শুধু অংশগ্রহণ নয়, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি ও প্রবৃদ্ধির বিষয়েও মনোযোগী হতে হবে।’
আরও পড়ুন: অনুমতি ছাড়া বাণিজ্য মেলা, বন্ধ করল উপজেলা প্রশাসন
এ সময় বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সোর্সিং মেলা আয়োজন না করলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশীয় পণ্যের পরিচিতি বাড়বে না, আমাদের সক্ষমতাও তৈরি হবে না। এজন্য বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সোর্সিং মেলার প্রচারণা জোরদার করতে হবে।’
নাম পরিবর্তনের কারণ
ইপিবি জানায়, ১৯৯৫ সাল থেকে ডিআইটিএফ আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমন্বয়ে আয়োজিত হয়ে আসছে। উদ্দেশ্য ছিল বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে গুণগতমানসম্পন্ন পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন এবং স্থানীয় বাজারকে আন্তর্জাতিকমানের সঙ্গে পরিচিত করা।
কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, অনেক বিদেশি প্রতিষ্ঠান দূতাবাস বা সরকারি প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে অংশ না নিয়ে স্থানীয় এজেন্ট বা ব্যক্তির মাধ্যমে অংশ নিচ্ছে। এতে পণ্য ও সেবার মান যাচাই করা যাচ্ছে না, বরং অনেক সময় বিদেশি ব্র্যান্ডের নামে স্থানীয় মানহীন পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।
ফলে ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন, প্রদর্শনীর আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, বিদেশি ক্রেতাদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে এবং স্থানীয় উদ্যোক্তারা বৈশ্বিক ট্রেন্ড ও প্রযুক্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এসব কারণেই আন্তর্জাতিক পরিচয়ের পরিবর্তে মেলাটিকে দেশীয় বাণিজ্য মেলার কাঠামোয় আনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।