ডাকসু-জাকসুর মত আগামী নির্বাচনেও জামায়াতকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবেন জনগণ

৩ সপ্তাহ আগে
ডাকসু ও জাকসুর হাওয়া সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে এভাবে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।

‎শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পাবনার সাঁথিয়া সরকারি ডিগ্রি কলেজ মাঠে উপজেলা উলামা বিভাগ আয়োজিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, ‘ঢাবিতে যারাই ক্ষমতায় এসেছেন শিবিরের ওপর সীমাহীন জুলুম নির্যাতন করেছেন। শিবির সন্দেহে শিক্ষার্থীদের হত্যা করা হয়েছে। হলের ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে। এখন সেই নির্যাতনের শিকার হওয়া শিবিরই সবার নিরাপদ ঠিকানা।’


রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘হাসিনা সরকার দেশকে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কাছে বিক্রি করে তাঁবেদারি রাষ্ট্র করার চেষ্টা করছিল। ইসলামকে নির্মূল করার সব আয়োজন সম্পূর্ণ করেছিল। এরই নমুনা হিসেবে মাওলানা নিজামীকে হত্যা করেছে, আব্দুস সোবহানকে নিষ্ঠুরভাবে জেলখানায় হত্যা করা হয়েছে। এ ছাড়াও ১১ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে হত্যা করা হয়েছে।’


আরও পড়ুন: জামায়াত নির্বাচনমুখী রাজনৈতিক দল: রফিকুল ইসলাম


জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই শুরু হয়েছিল ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলন। যে জনগণ ফ্যাসিবাদী সরকারকে বিদায় করেছে। নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেয়া হবে না। ঢাবি ও জাবি থেকেই ইসলাম বিজয়ের সূচনা হয়েছে।’


তিনি আরও বলেন, ‘সাবেক বিচারপতি এসকে সিনহা ছিল সব নাটের গুরু, পরে শেখ হাসিনার দৌড়ানি খেয়ে পালিয়েছেন। জামায়াত শিবিরের সঙ্গে যারাই দুর্ব্যবহার করেছেন তারাই পালিয়েছেন। অবৈধ বিচারের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এরা খুনি এদের কোনো ক্ষমা নেই। হাসিনা নিজেও পালিয়ে কূল পাননি। নেতাকর্মী এতিম হয়ে গেছেন।’


আরও পড়ুন: জামায়াতের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ায় রাজনীতির পরিবর্তন ঘটেছে: রফিকুল


‎বিএনপির দুর্নীতি উল্লেখ করে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘একটি দল ক্ষমতায় থাকতে দুর্নীতিতে ৫ বারের চাম্পিয়ন হয়েছিল। যার নতুন করে নমুনা ৫ আগস্টের পর দেখিয়েছে। দেশের মালিক মনে করে বালু খাওয়া, পাথর খাওয়া, চাঁদাবাজী, দখলদারিত্বসহ সব অপকর্ম করেছিল। এরই প্রতিদান এখন পাচ্ছে। ‎ আগামীতে চাঁদাবাজ, দখলদার ও সন্ত্রাসীমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই।’


সাঁথিয়া উপজেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা আবু হানিফের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা  আব্দুল কুদ্দুসের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন: পাবনা-১ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ব্যরিস্টার নাজিবুর রহমান মোমেন, পাবনা জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা আব্দুর রহিম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মো. ইকবাল হোসাইন, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ও জেলা উলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওৱ আব্দুল গাফফার খান, সাঁথিয়া উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মোখলেছুর রহমান।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন