অর্ধযুগ পর গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘিরে নানামুখী পর্যালোচনা-বিশ্লেষণ রাজনৈতিক অঙ্গনে।
এবারের ডাকসু নির্বাচনে কেবল প্রথমবারের মতো জয়ই নয়, সব মহলকে চমকে দিয়ে ২৮ পদের ২৩টিতেই জয় পেয়েছে শিবির সমর্থিত প্যানেল। এমনকি হল সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্রদের যে জয়জয়কার, সেখানেও ছিল শিবিরের সমর্থন।
দুই দিন বাদে অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ-জাকসু নির্বাচনেও ২৫ পদের মধ্যে জিএস-এজিএসসহ ২০টিতে নিরঙ্কুশ জয় পায় শিবির সমর্থিত প্যানেল। বিপরীতে দুই কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে কোনো পদেই ছাত্রদলের জয় না পাওয়া অবাক করেছে নানা মহলকে।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন: ২৮ পদের ২৩টিতেই জয় ছাত্রশিবিরের
দেশের গুরুত্বপূর্ণ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজেদের ছাত্র সংগঠনের সাফল্যে আগামী নির্বাচনেও বাড়তি সুবিধা পাওয়ার আশায় জামায়াত। ঐতিহাসিক কিছু নজির টেনে দলটির নেতারা বলছেন, ক্যাম্পাসের গণ্ডি পেরিয়ে ডাকসু-জাকসুর ফলাফল প্রভাব ফেলবে জাতীয় রাজনীতিতেও।
এ বিষয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ সময় সংবাদকে বলেন, আমরা আশা করছি আগামীতে নির্বাচনসহ জাতীয় রাজনীতিতে ডাকসুর অনিবার্য প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে।
যদিও কারচুপি, প্রশাসনের পক্ষপাতসহ ডাকসু-জাকসুতে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে ছাত্রদল। এমনকী ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার ঘণ্টা দেড়েক আগে জাকসু নির্বাচন বর্জনও করে সংগঠনটি। আর জাতীয় রাজনীতিতে এসব নির্বাচনের প্রভাব কেমন পড়বে, তা নিয়ে জামায়াতের উল্টো অবস্থানে ছাত্রদলের অভিভাবক সংগঠন বিএনপি।
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচন: ২৫ পদের ২০টিতেই জিতল শিবির-সমর্থিত প্যানেল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ সময় সংবাদকে বলেন, আমরা মনে করি জনগণের চাহিদা একরকম, ছাত্রদের চাহিদা অন্যরকম। ছাত্রদের নির্বাচন দিয়ে জাতীয় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে বলে আমার মনে হয় না।
বিএনপির নেতারা মনে করেন, বর্তমান বাস্তবতায় জাতীয় রাজনীতি আর ক্যাম্পাসভিত্তিক নির্বাচনের সমীকরণে রয়েছে নানা তফাৎ।