বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়েরের পর বিশেষ আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারদের জেলহাজতে পাঠানো হয়। তবে এদের মধ্যে দুই আসামি অসুস্থ থাকায় পুলিশ প্রহরায় তারা ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, সনাতন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে আটকের পর তার মুক্তির দাবিতে গেল ২৬ নভেম্বর ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের জিলা স্কুলমাঠে সমাবেশ করেন তার দলের নেতাকর্মীরা। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ হলেও পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শহরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা সেনাবাহিনীর ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আইনজীবী সাইফুলকে নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার মিথ্যাচার, যে বার্তা দিলো প্রেস উইং
এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ভাঙচুর করা হয় যানবাহন। এ সময় আহত হন বেশ কয়েকজন সেনাবাহিনী, পুলিশ সদস্য ও সংবাদকর্মী। পরে উপায় না পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করেন।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুর রহমান জানান, সন্ত্রাস দমন আইনে এ মামলাটি করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
]]>