জেলেনস্কি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প, ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একঘরে বসে শান্তি আলোচনার স্বপ্ন দেখেন তিনি। এছাড়া যুদ্ধ চলাকালীন পশ্চিমাদের জব্দ করা রাশিয়ার ৩০০ বিলিয়ন সমমূল্যের সম্পদ কিয়েভকে হস্তান্তরের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অনুরোধ করেন জেলেনস্কি।
ওই সম্পদের বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র চান তিনি। সাক্ষাৎকারে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে বুদাপেস্ট স্মারকলিপি লঙ্ঘনের অভিযোগও তুলেছেন জেলেনস্কি।
রুশ নেতৃত্বের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তারা কেবল অস্ত্রের ভাষা বুঝতে পারে। চলমান উত্তেজনা এবং পশ্চিমা সমর্থনের অভাবে বেড়ে চলা হতাশার প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট দেশটির নিরাপত্তার জন্য আরও শক্তিশালী ব্যবস্থা নেয়ার দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: দাবি ট্রাম্পের /রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তিতে আগ্রহী জেলেনস্কি
তবে, পশ্চিমারা তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেন ব্যাপক অস্ত্র ঘাটতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে জেলেনস্কি অনুশোচনা করে বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর ১৯৯৪ সালের বুদাপেস্ট স্মারকলিপির অধীনে বিপুল পরিমাণ পারমাণবিক অস্ত্র পরিত্যাগ করতে হয়। বর্তমান সময়ে ওই অস্ত্রগুলো থাকলে ইউক্রেন যুদ্ধে অনেক এগিয়ে থাকত। বর্তমানে এসব অস্ত্রের কর্তৃত্ব রাশিয়ার অধীনে আছে।
বুদাপেস্ট স্মারকলিপিতে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিনিময়ে ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। সেসময় ইউক্রেন প্রায় ১৭০০ পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করে।
]]>