যার মধ্যে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ৬৪ ও ২ বিজিবির যৌথ অভিযানে টেকনাফ থেকে এক লাখ ২০ হাজার ইয়াবাসহ দুজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। টেকনাফে আরেকটি অভিযানে ২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা জব্দ করে ২ বিজিবি।
উখিয়ার ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, বিজিবির ২ ও ৬৪ ব্যাটালিয়ন সন্ধ্যা ৬টার দিকে টেকনাফ ফিশারী ঘাট সংলগ্ন এলাকায় যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে একটি ট্রলারে তল্লাশি করে জালের কুণ্ডুলির ভেতর থেকে ১২টি হলুদ রঙের প্যাকেট উদ্ধার করে। এসব প্যাকেটের ভেতরে এক লাখ ২০ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়। এসময় টেকনাফ এলাকার মৃত সৈয়দ আমিনের ছেলে মো. সাদেক (১৯) ও টেকনাফ জাদিমুরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ-ব্লকের মৃত কবির আহমেদের ছেলে আনাছ (৪০) কে আটক করা হয়। তারা দুজন মাদক কারবারি।
‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করে যে, ট্রলারের মালিক ‘খতিয়ার’ এর নির্দেশে মিয়ানমারের জিঞ্জিরা নামক স্থান থেকে ইয়াবাগুলো সংগ্রহ করে লবণঘাট এলাকায় পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব ছিল তাদের। এর বিনিময়ে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা ছিল।’
আরও পড়ুন: সীমান্তে দুই লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা ফেলে মিয়ানমারে পালাল চোরাকারবারিরা
উখিয়ার ৬৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন আরও বলেন, ‘সীমান্ত পাহারার পাশাপাশি বিজিবি মাদকবিরোধী অভিযানে সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের যৌথ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে পৃথক আরেকটি অভিযানে টেকনাফের নাফ নদী থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা জব্দ করেছে ২ বিজিবির সদস্যরা।
টেকনাফস্থ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, মিয়ানমার থেকে মাদকের একটি বড় চালান নাফ নদী দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করা হবে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ২ বিজিবি’র বেশ কয়েকটি দল অপরাধীদের ধরতে নাফ নদীতে কৌশলগত স্থানে ফাঁদ পাতে। পরে রোববার ভোর রাতে আন্তর্জাতিক সীমানা পার হয়ে তিনজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি সাঁতার কেটে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এসময় বিজিবির ওঁৎপেতে থাকা নৌটহল দলগুলো অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে জালিয়ার দ্বীপ ও শোয়ার দ্বীপের মধ্যবর্তী জলসীমায় অবস্থান নেয়। বিজিবি তাদের ধাওয়া দিলে সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা বেশকিছু প্যাকেট নদীতে ফেলে দিয়ে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। এরপর, বিজিবি পানি থেকে ভাসমান অবস্থায় ২ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা জব্দ করে।