টেকনাফের বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের বরাতে জানা যায়, জলাবদ্ধতার শিকার গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে: হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ৮টি গ্রাম, হ্নীলা ইউনিয়নে ৭টি গ্রাম, টেকনাফ পৌরসভার ৫টি গ্রাম, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৫টি গ্রাম, সাবরাং ইউনিয়নে ৭টি গ্রাম, বাহারছড়া ইউনিয়নে ৮টি গ্রাম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এসব এলাকার ঘরবাড়ি, কাঁচা রাস্তা ও সবজিক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন জানান, ভারী বৃষ্টিপাতে টেকনাফের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। যেসব পরিবার বেশি ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের মধ্যে ৫০০ জনকে ইতোমধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের নিয়মিত খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বৃষ্টিপাত কমে গেলে পানি দ্রুত সরে যায়, কারণ একদিকে নাফ নদী এবং অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর রয়েছে। তবে পাহাড় ধসের শঙ্কা থাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে মাইকিং করা হচ্ছে।
টানা বৃষ্টিপাত ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপের মধ্যকার নৌ যোগাযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। সাগরে উচ্চ ঢেউ ও বাতাসের কারণে নৌ চলাচল অনিরাপদ বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে বাগেরহাট শহরের প্রধান সড়ক ও অলিগলি
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. আব্দুল হান্নান বলেন, গত কয়েক দিনে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে। বিশেষ করে ৩ জুলাই ১৩৬ মিমি, ৬ জুলাই ১৪৬ মিমি এবং ৭ জুলাই ১৫৭ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। আজ ৮ জুলাই সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আরও ১১ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
তিনি জানান, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। একই সঙ্গে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা থাকায় পাহাড় ধসের ঝুঁকি রয়েছে।
ইউএনও শেখ এহেসান উদ্দিন জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রশাসন মাঠে কাজ করছে এবং প্রয়োজন হলে আরও আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হবে। দুর্যোগ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত নজরদারি অব্যাহত থাকবে।