অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সদরপুর গ্রামের আখেরুজ্জামান তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর ৩নং পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদে একটি ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের জন্য যান। সেখানে দায়িত্বরত সচিব মো. শাহাদত হোসেন লাইসেন্স নবায়নের জন্য অতিরিক্ত ফি বাবদ তার কাছে ৩০০০/- (তিন) হাজার টাকা দাবি করেন এবং নানা ভাবে হয়রানি করেন। পরে সচিব শাহাদত হোসেনের ব্যক্তিগত বিকাশ নাম্বারে ১৪৮৭/- টাকা খরচসহ পাঠাতে বলেন। গত বছরে ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের ফি ছিল ৩৩০/-টাকা। কিন্তু চলতি বছরে ১৪৬০/- টাকা ফি নেয়া কতোটুকু যুক্তিসংগত প্রশ্ন করলে শাহাদাত হোসেন কোনো উত্তর না দিয়ে আখেরুজ্জামানকে তড়িঘড়ি করে ট্রেড লাইসেন্স প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী আখেরুজামান বলেন, সচিব শাহাদত হোসেন আমার কাছে ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের জন্য ৩ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন। পরে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বারে ১৪শত ৮৭টাকা খরচসহ পাঠাতে বলেন। আমি টাকা পাঠিয়ে দেই। এই ইউনিয়ন পরিষদে এরকম ঘটনায় প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে এবং এর ফলে জনগণের চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা জিম্মি হয়ে আছি।
আরও পড়ুন: মাদকের হটস্পট রংপুর, প্রকাশ্যে অর্ধশত স্পটে চলছে রমরমা বাণিজ্য
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন সময় সংবাদকে বলেন, আমি ইউনিয়নের সকল কর্মকর্তাদের বলেছি ইউনিয়নবাসী যাতে সঠিকভাবে সেবা পায়। কোথাও যাতে কারো কোন গাফিলতি না থাকে। ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আমি ভাল দেখে স্বাক্ষর দেই। তবে এই ট্রেড লাইসেন্স আমি স্বাক্ষর দিয়েছি যেটা আমার দেখা উচিৎ ছিলো। এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আর এই বিষয়টি নিয়ে সচিবের সাথে কথা বলবো। কোনো গাফিলতি আছে কিনা।
আরও পড়ুন: রংপুরে ৯ জনের অ্যানথ্রাক্স শনাক্ত, এতো দ্রুত ছড়াচ্ছে কীভাবে?
এই বিষয়ে ইউনিয়ন সচিব শাহাদাত হোসেন বলেন, আমি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী টাকা নিয়েছি। বেশি নেয়ার কোনো সুযোগ নাই। প্রতিবেদক সরকারি নবায়ন ফি কত টাকা জানতে চাইলে শাহাদাত হোসেন বলেন, রিসিট দিয়েছি দেখে নেন। তবে প্রতিবেদক তার ব্যক্তিগত বিকাশ নাম্বারে টাকা নেওয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে, এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি শাহাদাত।
রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ আমরা পেয়েছি। ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ফি বেশি নেয়ার অভিযোগ ইউনিয়ন সচিবের বিরুদ্ধে। আমরা এটা তদন্ত করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।