সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে ঝিনাইদহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. মাহবুব আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. শামীম হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আশরাফুল ইসলাম ওরফে আশরাফ মিস্ত্রি ঝিনাইদহ শহরের খন্দকার পাড়ার বাসিন্দা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১৬ ডিসেম্বর মধ্যরাতে সততা অয়েল মিলসের ১০ ড্রাম সরিষার তেলের মধ্যে পোড়া মবিল মিশিয়ে দেন আশরাফসহ পাঁচজন। ঝিনাইদহের হামদহ এলাকার শেরে বাংলা অয়েল এন্ড রাইস মিলের মালিক আ. মালেক ও কালীচরণপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানের পরিকল্পনায় করা ওই ঘটনাটি জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
আরও পড়ুন: ভিকারুননিসার ছাত্রীকে অপহরণ-ধর্ষণ: একজনের যাবজ্জীবন
ওই ঘটনায় সততা অয়েল মিলের মালিক নওশের আলী বাদী হয়ে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যা পরবর্তীতে এজাহার হিসেবে রেকর্ড হয়। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আজিজুর রহমান আদালতে সাতজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন।
২০২১ সালে মামলার অপর আসামি হাফিজ চেয়ারম্যান মারা যান। ওই মামলায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ রায় দিলেন আদালত।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দবির উদ্দিন ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ আদালতে আমরা প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছি। রায় সন্তোষজনক।’
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি সদস্যের যাবজ্জীবন
মামলার বাদী মরহুম নওশের আলীর ছেলে সততা অয়েল মিলসের বর্তমান স্বত্বাধিকারী মিরাজ জামান রাজ বলেন, ‘রায়ে আমরা আংশিক সন্তুষ্ট। তবে চাঞ্চল্যকর ঘটনার মূলপরিকল্পনাকারী ও অর্থদাতা আব্দুল মালেকসহ সহযোগী আসামিরা খালাস পাওয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ। অন্য আসামিদের শাস্তি নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালতে আমরা আপিল করব।’
কোর্ট পরিদর্শক মো. মোক্তার হোসেন বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর মামলায় এক আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামিকে কারাগারে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’

১ সপ্তাহে আগে
১০








Bengali (BD) ·
English (US) ·