ঝিনাইদহে পৃথক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

ঝিনাইদহের শৈলকূপা ও কালীগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের ভাটই বাজার সংলগ্ন আসাননগর এলাকায় বাস চাপায় মিরাজ হোসেন (২২) নিহত হন। একই দিনে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কের পাতিবিলা বটতলা এলাকায় ট্রাক চাপায় রফিক রেজা (৩৮) নামে অপর এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

 

ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের দুর্ঘটনায় নিহত মিরাজ হোসেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে। তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে মার্কেটিং অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

 

পুলিশ জানায়, শৈলকূপায় কাজ শেষে দুপুরে মোটরসাইকেলযোগে ঝিনাইদহ ফেরার পথে আসাননগর এলাকায় একটি যাত্রীবাহী বাস তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে শৈলকূপা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মরদেহ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান।

 

আরও পড়ুন: ঝিনাইদহের মাঠে অজ্ঞাতপরিচয় নারীর মরদেহ উদ্ধার

 

শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান জানান, ঘাতক বাসটি স্থানীয়রা জব্দ করেছে, তবে চালক পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

 

অপরদিকে, কালীগঞ্জ-কোটচাঁদপুর সড়কে রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোটরসাইকেল আরোহী রফিক রেজা নিহত হন। তিনি শৈলকূপা উপজেলার হাবিবপুর গ্রামের নবী নেওয়াজের ছেলে এবং মহেশপুর ভূমি অফিসে কর্মরত ছিলেন। দুর্ঘটনায় তার সহযাত্রী নুরুজ্জামান গুরুত্বর আহত হন।

 

পুলিশ জানায়, রফিক রেজা ও নুরুজ্জামান মোটরসাইকেলযোগে মহেশপুর থেকে কালীগঞ্জ শহরের দিকে ফেরার পথে রাস্তার ওপর রাখা বালুর স্তুপে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যান। তখন পিছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। স্থানীয়রা গুরুত্বর আহত নুরুজ্জামানকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, পরে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।

 

কালীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মোফাজ্জেল হোসেন জানান, ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হয়েছে, তবে চালক পালিয়ে গেছে। মরদেহ ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

]]>