জুলাই সনদে স্বাক্ষরের প্রশ্নে যে বার্তা দিলেন আখতার

১ সপ্তাহে আগে
জুলাই সনদের বাস্তবায়ন কীভাবে এবং নোট অব ডিসেন্ট নিয়ে পরিষ্কার ধারণা না থাকায় এতে স্বাক্ষরের বিষয়টি বিবেচনাধীন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জরুরি বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 

আখতার বলেন, জুলাই সনদ গঠনে এনসিপি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে। আমরা ঐকমত্য তৈরিতে কাজ করেছি। আমরা সনদের আইনি ভিত্তি এবং তার অধীনে জাতীয় নির্বাচন চেয়েছিলাম।

 

তবে জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কোনো পরিষ্কার ধারণা দেয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আদেশ, গণভোট এবং সংসদকে সাংবিধানিক ক্ষমতা দিতে হবে। কিন্তু সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া উল্লেখ করা হয়নি। নোট অব ডিসেন্ট বাস্তবায়ন কীভাবে তাও খোলাসা করা হয়নি। আদেশটা কেমন হবে, তাও খোলাসা নয়। সংবিধান আদেশ বা জুলাই জাতীয় সনদ আদেশ হয়। এটি প্রধান উপদেষ্টার জারিকৃত আদেশ হতে হবে।

 

গণভোটের প্রশ্নেও অস্পষ্টতা আছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

জুলাই সনদকে টেকসই করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, শেষ মূহুর্তে শঙ্কা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া খোলাসা না করে জুলাই সনদ টেকসই করা সম্ভব কি না। অস্পষ্টতা থাকলে অর্জন অনিশ্চিত থেকে যাবে।

 

আরও পড়ুন: কথার কথা নয়, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

 

তবে রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা থাকলে এবং সরকার দৃঢ় ভূমিকা রাখলে সংকট কাটতে পারে বলে মনে করেন এনসিপির সদস্য সচিব।

 

এরআগে কমিশনের সদস্যরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।  

 

গত মঙ্গলবার বহুল আকাঙ্ক্ষিত ‘জুলাই জাতীয় সনদ, ২০২৫’ এর চূড়ান্ত অনুলিপি রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে সনদে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে কোনো সুপারিশ নেই। পরে অন্তর্বর্তী সরকার ও দলগুলোর কাছে এ সংক্রান্ত সুপারিশ দেবে কমিশন।

 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নিয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। প্রথম ধাপে গঠন করা ৬টি সংস্কার কমিশনের (সংবিধান, নির্বাচনব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন, পুলিশ ও বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন) সংস্কার প্রস্তাব নিয়ে দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন।

 

আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন করতে হবে, বিকল্প নেই: সালাহউদ্দিন আহমদ

 

প্রথম পর্বে ৩৩টি ও দ্বিতীয় পর্বে ৩০টি দলের সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন। গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে দুই পর্বের আলোচনায় ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য ও সিদ্ধান্ত হয়। এগুলো নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে জুলাই জাতীয় সনদ।

 

জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় আগামী শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হবে। প্রায় তিন হাজার অতিথিকে এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে। সনদে সই করার জন্য ৩০টি রাজনৈতিক দল ও জোটকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।

 

জুলাই জাতীয় সনদের তিনটি ভাগ রয়েছে। প্রথম ভাগে সনদের পটভূমি, দ্বিতীয় ভাগে ৮৪টি সংস্কার প্রস্তাব এবং তৃতীয় ভাগে সনদ বাস্তবায়নের সাত দফা অঙ্গীকারনামা রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন