যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজয়ী ঘোষণার একদিন পর মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ফ্লোরিডায় এক সংবাদ সম্মেলনে গাজা ইস্যু নিয়ে কথা বলেন ট্রাম্প।
তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের আগে ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়া না হলে ২০ জানুয়ারির পর মধ্যেপ্রাচ্যজুড়ে নরকে পরিণত হবে। দীর্ঘ সময়ের এ যুদ্ধে আরও আগেই ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এটি হামাসের জন্য ভালো হবে না। এমনকি কারও জন্যই এটি ভালো কিছু বয়ে আনবে না। গাজায় নরক ফেটে পড়বে। আমি আর কিছুই বলতে চাই না।’
এছাড়া ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলা চালানো কখনোই উচিত হয়নি বলে উল্লেখ করে ট্রাম্প।
আরও পড়ুন: ইসরাইলি বোমার ভয়ে তাঁবুর ভেতর গর্ত খুঁড়ে থাকছে গাজাবাসী
মধ্যপ্রাচ্যের বিশেষ দূত হিসেবে ট্রাম্পের নিযুক্ত স্টিভ উইটকফ ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে চলমান আলোচনার বিষয়ে একটি আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেছেন বলে জানিয়েছে সিএনএন।
স্টিভ উইটকফ বলেন, ‘আমরা আশা করি যুদ্ধবিরতির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। তবে কী কারণে এটি বিলম্বিত হচ্ছে তা নিয়ে আমি কথা করতে চাই না, কোনোভাবেই নেতিবাচক হওয়ার কোনো মানে হয় না। তবে আমার মনে হয় প্রেসিডেন্ট যে জিনিসগুলো বলছেন তা এই আলোচনাকে প্রভাবিত করছে এবং আশা করি এটি কার্যকর হবে এবং আমরা কিছু প্রাণ বাঁচাতে পারব।’
দোহায় চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় যোগ দেবেন বলেও জানান স্টিভ উইটকফ।
এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর শুরু হয়ে এ পর্যন্ত চলা যুদ্ধের কারণে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। এ অবস্থায় গাজায় যুদ্ধ পরবর্তী অস্থায়ী শাসনব্যবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সঙ্গে গোপন আলোচনা চালাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বেশ কয়েকজন বিদেশি কূটনীতিক ও পশ্চিমা কর্মকর্তাদের বরাতে এক প্রতিবেদেনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের সঙ্গে আমিরাতের গোপন আলোচনা
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধের পর ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করে নিলে ইউএই এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশগুলো সেখানকার পুনর্গঠন, নিরাপত্তা এবং শাসন পরিচালনা সাময়িকভাবে দেখভাল করতে পারে কিনা তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
খবরে আরও বলা হয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা অংশীদার। তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কও আছে আবুধাবির। আর তাই ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারের ওপর প্রভাব রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির।
তবে আমিরাতের আলোচনা থেকে যেসব পরিকল্পনা বেরিয়ে এসেছে সেগুলোর কোন বিশদ রূপরেখা নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে কিংবা লিখিত আকারে সেসব পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়নি এবং কোন সরকারও তা অনুমোদন করেনি বলে জানা গেছে।