বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইমরান আহম্মেদের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে এ আবেদন করেন তিনি।
৮ অক্টোবর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন। ওইদিন বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আদালত আসামিকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, গত ৫ অক্টোবর আসামি তাপসী তাবাসসুম উর্মি শুধু শহীদ আবু সাঈদ নয়, সরকারের দায়িত্বশীল পদে থাকার পরও ছাত্র-গণআন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সরকার ও সরকার প্রধান নোবেল বিজয়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধেও অবমাননাকর বক্তব্য ফেসবুক লেখেন। যার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেফারেন্সের ভিত্তিতে সংবিধান সম্মতভাবে গঠিত একটি সরকার প্রধান সম্পর্কে বিষোদগার করা হয়েছে এবং সরকার উৎখাতের হুমকি দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেই ঊর্মির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠি
এর আগে ১৪ অক্টোবর সদ্য সাময়িক বরখাস্ত হওয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিতে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। চিঠিতে বলা হয়, ‘বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সহকারী সচিব) তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর বক্তব্য দেয়ায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
‘এ অবস্থায় তাপসী তাবাসসুম ঊর্মিকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
সমালোচিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি ফেসবুকে লেখেছিলেন, ‘সাংবিধানিক ভিত্তিহীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, রিসেট বাটনে পুশ করা হয়েছে। অতীত মুছে গেছে। রিসেট বাটনে ক্লিক করে দেশের সব অতীত ইতিহাস মুছে ফেলেছেন তিনি। এতই সহজ! কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে আপনার, মহাশয়।’
পরে স্ট্যাটাসের বিষয়ে জানতে চাইলে ঊর্মি মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি পোস্ট দিয়েছি এটাই তো যথেষ্ট। অনলি মি করেছি। বদলি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’
]]>