জামালপুরে অস্ত্রের মুখে পুকুর থেকে ২০ লাখ টাকার মাছ লুট

৬ দিন আগে
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি সৈয়দ হামদুজ্জামান বাবলুর মালিকানাধীন পুকুর থেকে প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে।

পুকুর পাহারাদার শহিদুল ইসলাম জানান, বিজয়, হাবিবুল্লাহ্, মনি, ডিপজল, হুমায়ুন, কবীর ও কটুসহ শতাধিক ব্যক্তি রাতের আঁধারে পেশাদার জেলে এনে পুকুরে জাল ফেলে মাছ ধরে নিয়ে যায়। তাদের সঙ্গে প্রায় শতাধিক অস্ত্রধারী ব্যক্তি ছিল। বাঁধা দিতে গেলে তারা রামদা, রড় ও লাঠিসোটা নিয়ে ধাওয়া করে। প্রাণভয়ে পাহারাদারেরা পালিয়ে যায়। পরে মেলান্দহ থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।


সৈয়দ হামদুজ্জামান বাবলু বলেন, 'আমি ৫০ বছর ধরে ওই পুকুরে মাছ চাষ করে আসছি। বিগত সরকার আমলে আমার জমি, পুকুর ও খামারে বারবার হামলা, মামলা ও লুটপাট চালানো হয়েছে। এবার ৫ আগস্টের পর আবারও সেই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে।'


তিনি আরও অভিযোগ করেন, 'শনিবার রাতে চারটি ট্রাকে করে প্রায় ৫০ মণ মাছ নিয়ে গেছে। মাছগুলোর প্রতিটির ওজন ছিল ৫ থেকে ১০ কেজি পর্যন্ত। পুকুরে প্রতিদিন ৩০ হাজার টাকার খাদ্য দিয়ে মাছ বড় করেছি।'


বাড়ির নারী কর্মচারী সখিনা বেগম বলেন, 'রাতে খবর পেয়ে গেলে তারা অস্ত্র নিয়ে আমাদের দৌড়ানি দেয়। আমার ছেলেকে হত্যার হুমকিও দিয়েছে।'


আরও পড়ুন: বাসায় ঢুকে মালিকের হাত-পা বেঁধে ৯ ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট


বাবলুর অভিযোগ, 'আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মির্জা আজম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী, তার ভাগিনা মহসীন এবং মেলান্দহ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামানসহ প্রভাবশালী কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার নেতৃত্বে অতীতেও আমার কোটি কোটি টাকার সম্পদ লুট করা হয়েছে। তাদের প্রভাবে আমি তখন আইনগত কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি।'


এ বিষয়ে মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট বলেন, 'মাছ চুরির খবর পেয়ে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

অভিযুক্তদের মধ্যে বিজয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন