সোমবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টায় জেলা শহরের নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক জনতার আয়োজনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা দেশের সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে ধরে বিদেশি স্বার্থে করা নানা চুক্তি, উদ্যোগ ও পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানান।
তারা বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও কৌশলগত গুরুত্বকে কাজে লাগিয়ে একদিকে ভারত, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র দেশকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চাইছে। ভারতের দালালি কিংবা আমেরিকার দালালি কোনোটিই বাংলাদেশে চলবে না। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মূল্যবোধ রক্ষায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। মানববন্ধন থেকে ১৬ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।
আরও পড়ুন: ১২ ঘণ্টা পর চাঁপাইনবাবগঞ্জে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- আমেরিকার সঙ্গে স্বার্থবিরোধী গোপন বাণিজ্য চুক্তি রদ।
- চট্টগ্রাম বন্দরের কৌশলগত হাব বিদেশীদের হাতে না দেয়া।
- সীমান্তে ভারতীয় বাহিনীর গুলিতে বাংলাদেশি হত্যার প্রতিকার।
- স্টারলিংক ইন্টারনেট বন্ধ করা।
- বিদেশি ক্ষতিকর খাদ্যপণ্য আমদানি বন্ধ করা।
- সমকামিতা বা এলজিবিটি বৈধকরণ রোধ।
- পতিতাদের রাষ্ট্রীয় ভাতা প্রদান বন্ধ।
- নারী বিষয়ক বিতর্কিত সংস্কার প্রতিবেদন বাতিল।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বহির্বিশ্বের চাপিয়ে দেওয়া নানা সিদ্ধান্তে দেশের অর্থনীতি ও শিল্প-কারখানা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। একই সঙ্গে দেশের অভ্যন্তরে বিভাজন সৃষ্টির ষড়যন্ত্রও চলছে। জনগণকে সংগঠিত করে এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মুহম্মদ নুরুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুহম্মদ পারভেজ কবির, মুহম্মদ আল মামুন, মুহম্মদ আশিক, মুহম্মদ আব্দুল মালেকসহ শতাধিক ছাত্র-শ্রমিক ও জনতা।
]]>