জবি শিক্ষার্থী হত্যায় সন্দেহভাজন দু’জন শনাক্ত: পুলিশ

২ সপ্তাহ আগে
পুরান ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইনকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে দু’জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ।

রোববার (১৯ অক্টোবর) রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ জোনের ডিসি মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী এ তথ্য জানিয়েছেন।  


তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে জানিয়ে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা দু’জনকে শনাক্ত করতে পেরেছি। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।


হত্যার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। বিল্ডিংয়ের সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আশা করছি, খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদ্‌ঘাটন করা সম্ভব হবে।

 

আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে: ভিসি

 

এদিকে জুবায়েদ হত্যার পর থেকেই পলাতক টিউশন পড়ানো সেই শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যরা। 


রোববার সন্ধ্যায় পুরান ঢাকার আরমানিটোলার পানির পাম্প গলির একটি বাসা থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জুবায়েদ হোসাইনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জুবায়েদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।


জুবায়েদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। রাতে আরমানিটোলায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ অভিযোগ করেন তিনি। এসময় দোষীদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান ভিসি।

 

আরও পড়ুন: টিউশনির বাসার সিঁড়িতে পড়ে ছিল জুবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ


এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম বলেছেন, যারা পালিয়ে গেছে তারাই হত্যাকারী। জুবায়েদ যেখানে টিউশনি পড়াতে যেত সেই পরিবারও জড়িত বলে অভিযোগ করেন তিনি।


২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার করার আলটিমেটাম দেন ছাত্রদল সভাপতি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন