নিহত খাইরুন বেগম সেনারবাদী গ্রামের ধনু মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয় গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত দুদিন আগে একই গ্রামের মাওলা, আজমীর, সবুজ ও আনোয়ার নামে চার যুবক একটি অপরিচিত মেয়েকে নিয়ে এলাকায় ঘোরাঘুরি করার সময় খাইরুন বেগমের ছেলে হৃদয় তাদের কাছে মেয়েটির পরিচয় জানতে চান। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তারা হৃদয়কে মারধর করে আহত করেন।
শনিবার দুপুরে খাইরুন বেগম প্রতিপক্ষের কাছে তার ছেলেকে মারধর করার কারণ জানতে চাইলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে খাইরুন বেগমসহ সাতজন আহত হন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছিনতাইকারী সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে হত্যা
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে দুপুর ২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাইরুন বেগম মারা যান। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।
এ ব্যাপারে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।