বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে সদর উপজেলার ফাজিলপুর ও ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কের কালিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন: ফাজিলপুরের রুহুল আমিনের ছেলে আলমগীর হোসেন সোহাগ (৫০) এবং ফুলগাজী উপজেলার দক্ষিণ আনন্দপুর গ্রামের মকবুল আহমেদের ছেলে তোফায়েল আহমেদ (৫৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাত ১০টার দিকে পশ্চিম ফাজিলপুর রাজনগর এলাকায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে আলমগীর হোসেন সোহাগকে ছুরিকাঘাত করা হয়। তাকে উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এর আগে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কের আনন্দপুর কালিরহাট এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাইসাইকেল আরোহী তোফায়েল আহমেদের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ফেনীতে জলাশয়ে ২ মেট্রিক টন পোনামাছ অবমুক্ত
নিহত সোহাগের স্ত্রী শারমিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ‘স্থানীয় এরশাদ নামে এক ব্যক্তি আমার স্বামীর সঙ্গে তুচ্ছ বিষয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে আকস্মিক ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে। এরশাদ কয়েকদিন আগেই কারাগার থেকে বের হয়েছে। আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রুহুল মহসিন সুজন বলেন, ‘নিহত সোহাগের বুকে পাঁচটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়।’
এ বিষয়ে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল কাদির বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা ও ছুরিকাঘাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।’
]]>