আনন্দ ওই গ্রামের মৃত সুধীর ঘোষের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আনন্দ ঘোষের বাড়ির ছাদ থেকে পানি পড়ে ওই বাড়িতে চলাচলের রাস্তা কর্দমাক্ত হয়ে থাকে। বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভাইদের সঙ্গে বিবাদ চলছিল।
রোববার রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা নিয়ে আনন্দের স্ত্রী মিতা ঘোষের সঙ্গে মেঝভাই কালাচাঁদ ঘোষের ছেলে সৌরভ ও নয়নের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা মিতাকে কিল ঘুষি মারতে থাকেন। আনন্দ এগিয়ে এলে তার বড় দুই ভাই কালাচাঁদ ঘোষ, যুগল ঘোষ ও কালাচাঁদের দুই ছেলে কাঠের লাকড়ি দিয়ে তাকে মারধর করেন। গুরুতর অবস্থায় আনন্দকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ভাত খাওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটি, বড় ভাইয়ের হাতে ছোট ভাই খুন
আনন্দ ঘোষের মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী অথৈ বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার আপন কাকা ও কাকাতো ভাইয়েরা বাবাকে খুন করেছেন। আমি আমার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, ‘ছাদের পানি পড়াকে কেন্দ্র করে ঘরোয়াভাবে একাধিকবার সালিশ হলেও কেউ কাউকে ছাড় দিতে রাজী না। শেষ পর্যন্ত খুন হলো এই তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে।’
আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধে চাচাতো ভাইয়ের হাতে প্রাণ গেল যুবকের
এ বিষয়ে জানার জন্য আনন্দ ঘোষের অপর চার ভাই গৌরাঙ্গ, কালাচাঁদ, যুগল ও মিলন ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন সেন্টুসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। ঘটনার পর থেকে জড়িতরা পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’