ছাদ ধসে বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট খুলনার রেজিস্ট্রি অফিসের মূল্যবান নথিপত্র

২ সপ্তাহ আগে
খুলনার সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ছাদ ধসে টানা বৃষ্টিতে ভিজে গেছে শতাধিক মূল্যবান দলিল ও নথিপত্র। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত এই ঐতিহ্যবাহী ভবনের দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় ভবনটির ছাদের একটি বড় অংশ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ভোররাতে ধসে পড়ে। এতে রেকর্ড রুমে সংরক্ষিত বহু গুরুত্বপূর্ণ জমির কাগজপত্র পানিতে ভিজে যায়।

ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর না থাকলেও সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের এমন অব্যবস্থাপনা ও অবহেলা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।


সিটি করপোরেশনের পাশেই অবস্থিত একতলা এই রেজিস্ট্রি ভবনটি চুন-সুরকির পুরোনো কাঠামোয় গঠিত। বছরের পর বছর সংস্কারবিহীন থাকায় ভবনের ছাদ ও দেয়ালের বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে, প্লাস্টার খসে পড়ছে।


এর আগেও ভবনের প্রশাসনিক অংশে ছাদের বড় একটি প্লাস্টার খসে পড়ে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার পর থেকে অস্থায়ীভাবে বাঁশ ও নেট দিয়ে ছাউনি তৈরি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন অফিসের কর্মীরা।


সর্বশেষ টানা বৃষ্টিতে ছাদ ধসে রেকর্ড রুম পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পর, মূল্যবান নথিপত্র বাঁচাতে ছাদে পলিথিন টাঙানো হয়েছে এবং শ্রমিক দিয়ে উদ্ধার কাজ চলছে।


রেকর্ড কিপার মাহবুবুর রহমান বলেন, 'ভবনের প্রতিটি অংশই ঝুঁকিপূর্ণ। ছাদ থেকে পানি চুইয়ে পড়ছে, দেয়ালের প্লাস্টার ঝরছে। রেকর্ড রুমের দলিল-নথি রক্ষা করতে শ্রমিক দিয়ে যতটুকু পারছি কাজ করছি। প্রতিদিন আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। জানি না আর কতদিন এভাবে চলবে।'


আরও পড়ুন: রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক সমিতির চাঁদার রাজত্ব, নীরব প্রশাসন


তিনি আরও বলেন, 'দেশের সর্বত্র উন্নয়ন হলেও খুলনার এই প্রাচীন গুরুত্বপূর্ণ ভবনটির কোনো সংস্কার হয়নি। বিষয়টি অত্যন্ত হতাশাজনক।'


প্রতিদিন এই অফিসে জমি কেনাবেচা, হস্তান্তর ও বিভিন্ন দলিল সংক্রান্ত কাজে বহু মানুষ আসেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির অবস্থা খুবই বিপজ্জনক। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।


তাদের দাবি, অবিলম্বে অফিসটি সংস্কার অথবা নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হোক। নচেৎ সরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র হারানোর পাশাপাশি মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন