মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে তাকে ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে তাকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সৌদি আরবে পালিয়ে যাবার চেষ্টাকালে গ্রেফতার হন তিনি।
শাহীন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের লক্ষ্মীপুর জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহম্ত বলেন, শাহীন গত ৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তার বিষয়ে ইমিগ্রেশনে পূর্বে চিঠি দেয়া ছিল। সৌদি আরবে পালিয়ে যাবার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। আন্দোলনে নিহত ছাব্বির হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক কাউন্সিলরের সহযোগী যুবলীগ নেতা এরশাদ গ্রেফতার
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট সকালে লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রিজ ও দুপুরে জেলা শহরের তমিজ মার্কেট এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি ও হামলা করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। সে সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে চার শিক্ষার্থী নিহত ও দুই শতাধিক লোক আহত হন। এসব ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়। সেদিনের ঘটনার নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা শাহীনকে অস্ত্র হাতে গুলি করতে দেখা যায়। ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।