চাহিদা অনুযায়ী মিলছে না টিকিট, ভোগান্তিতে সিলেটবাসীর ট্রেনযাত্রা

৫ দিন আগে
সিলেটবাসীর জন্য ট্রেন যাত্রা এখন ভোগান্তির আরেক নাম। সড়ক পথের বেহাল অবস্থার কারণে যাত্রীরা রেলভ্রমণ বেছে নিয়েছেন, কিন্তু সেই সুযোগটিও পুরোপুরি মিলছে না। সিলেট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে চাহিদার তুলনায় ২০ ভাগ টিকিটও দিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শুধু বগি বাড়িয়ে সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়; এজন্য নতুন ট্রেন চালু করা অত্যাবশ্যক।

সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ভঙ্গুর দশা ও সড়কে দীর্ঘ যানজটের কারণে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টার যাত্রা ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা লেগে যাচ্ছে। ফলে যাত্রায় স্বস্তি পেতে যাত্রীরা বেছে নিচ্ছেন রেলভ্রমণ। তবে এখানেও ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। কারণ কাউন্টারে মিলছে না টিকিট। অনলাইনেও শেষ হয়ে যাচ্ছে অনেক আগেই।

 

যাত্রীরা জানান, রাস্তাঘাট খারাপ হওয়ায় বাসের ব্যবস্থা ঠিকমতো নেই, আর তাই রেলপথে চাপ বাড়ায় ট্রেনে চড়ার সুযোগও সীমিত। নিয়মিত যাত্রীদের পাশাপাশি ছুটির দিনে সিলেট বেড়াতে আসা পর্যটকরা বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন। অতি জরুরি ভিত্তিতে বগি বাড়ানো দরকার।

 

আরও পড়ুন: পুরানো রেলপথে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা, দুর্ঘটনার শঙ্কা

 

জানা যায়, সিলেট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম রুটে প্রতিদিন ছয় জোড়া ট্রেন চলাচল করে। সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রেনগুলো হলো কালনী, জয়ন্তিকা, পারাবত ও উপবন। আর চট্টগ্রামগামী ট্রেন হলো পাহাড়িকা ও উদয়ন। প্রতি ট্রেনে গড়ে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারেন।

 

তবে সিলেট স্টেশন থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামগামী যাত্রীদের টিকেটের চাহিদার প্রায় ২০ ভাগই পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার নূরুল ইসলাম জানান, সড়ক পথে ঢাকা বা চট্টগ্রাম পৌঁছাতে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা সময় লাগে, তাই ট্রেনে প্রচণ্ড যাত্রী চাপ তৈরি হয়েছে। অতিরিক্ত বগি যোগ করলেও যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে পারছে না রেলওয়ে। এজন্য প্রয়োজন প্রতিদিন সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি স্পেশাল ট্রেন চালু করা।

 

২০২৩ সালে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটে যাত্রী সুবিধা এবং অর্থনৈতিক কার্যাবলি বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন ‘টাঙ্গুয়া এক্সপ্রেস’ চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। সে সময় ট্রেনটির সময়সূচিও অনুমোদন করা হয়। তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও ট্রেনটি এখনও রেলপথে উঠেনি।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন