জানা গেছে, দাগনভূঞা পৌরসভার ৮টি সড়ক সংস্কারের কার্যাদেশ পান মেসার্স কাদের এন্টারপ্রাইজের মালিক আবদুল কাদের। দরপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। ২২ জুলাই দাগনভূঞা বাজারে ঠিকাদারকে খুঁজতে থাকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল। একই দিন ফাজিলের ঘাট রোডে ফাইন ওভারসীজেও তারা খোঁজ করে।
ঠিকাদার আবদুল কাদের জানান, টেন্ডার খোলার ৫ দিন পর একটি মোবাইল নম্বর (০১৬১৯৫৩৩৩৩২) থেকে এবং আড়াই মাস আগে অন্য একটি নম্বর (০১৭৯৭৩৩৯৮০১) থেকে তাকে ফোন করে চাঁদা চাওয়া হয়। হুমকিদাতাদের নাম পরিচয় জানলেও প্রাণভয়ে তিনি তা প্রকাশ করতে চাননি।
ঠিকাদারের দাবি, তাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তার অফিসে এসে সহকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং অফিসে তাকে জায়গা না দেওয়ার হুমকি দেয়। ফেনী রোডের অফিসেও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি নেতা কামরুল উদ্দিন ও আবদুল কাদেরকেও অপমান করে সন্ত্রাসীরা।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ২৩ জুলাই দাগনভূঞা পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স.ম আজহারুল হক পুরাতন থানা রোড ও হাজী ক্লিনিক থেকে সওদাগর বাড়ি পর্যন্ত সড়ক সংস্কার কাজের উদ্বোধন করেন। নিয়ম অনুযায়ী রাস্তার পাশে প্রকল্পের সাইনবোর্ড লাগানো হলে, রাতের আঁধারে সন্ত্রাসীরা তা তুলে ফেলে ও স্টিকার ছিঁড়ে ফেলে। পরবর্তীতে আবারও ঢালাই করে সাইনবোর্ড প্রতিস্থাপন করলে ২৭ জুলাই রাতে তা কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: ছিনতাইয়ের প্রতিবাদ করে প্রাণ গেল ঠিকাদার আরিফের
হুমকির মুখে ঠিকাদার আবদুল কাদের দাগনভূঞা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
এ বিষয়ে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, 'ঠিকাদার যদি কাজ করতে চান, তাহলে পুলিশ তাকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দেবে।'
এদিকে সড়ক সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীর ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন নাগরিকরা।