বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাতে উপজেলার সন্তোষপুর বেড়িবাজার এলাকার ভূঁইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই স্বজনরা এলাকাবাসীর সহায়তায় ঘাতক ছেলেকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
নিহত কাউসার বেগম ওই এলাকার সাবেক মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ আবু জাফরের স্ত্রী। আর হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত ছেলের নাম ফয়েজ আহমেদ (৩০)।
নিহতের স্বামী মাওলানা মোহাম্মদ আবু জাফর জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর তার ছেলে ফয়েজ আহমেদ লাঠি দিয়ে মা কাউসার বেগমের মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন কাউসার বেগম। পরে জীবিত আছেন ভেবে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয় তাকে। সেখানে জরুরি বিভাগে নেয়া হলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: মৌলভীবাজারে ছেলের কুড়ালের আঘাতে বাবা খুন
তিনি আরও জানান, মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত ছেলে ফয়েজ আহমেদ এক যুগ ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। অনেক জায়গায় তাকে চিকিৎসা করানো হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই কাজ হয়নি।
ছেলের হাতে মায়ের মৃত্যুতে তিনি নিজের নিয়তি বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। সেইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের জন্য ছেলের শাস্তি নয়, তার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মাকে কুপিয়ে হত্যার পর থানায় ছেলের আত্মসমর্পণ
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম জানান, মায়ের মৃত্যুর জন্য অভিযুক্ত ছেলেকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। রাতেই চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিহত কাউসার বেগমের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেছে পুলিশ।
]]>