মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরীর এভার কেয়ার হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ একজনকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। তবে কারা, কি কারণে এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো জানতে পারিনি।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকালে মদুনাঘাট এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তার ব্যবহৃত গাড়িটি পড়ে থাকতে দেখা গেছে। হত্যার কারণ বা দুর্বৃত্তদের পরিচয় সম্পর্কে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
আবদুল হাকিমের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাউজানের কাপ্তাই সড়ক ও রাঙামাটি মহাসড়কে গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীরা মিছিল ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করে। এতে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, আহত ২
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে রাউজান মদুনাঘাট ব্রিজ সংলগ্ন হাটহাজারী এলাকায় তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম নগরীর এভার কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আবদুল হাকিম বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচখাইন গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই এলাকায় তার প্রতিষ্ঠিত হামিম অ্যাগ্রো নামে একটি গরুর খামাারের স্বত্বাধিকারী। তিনি গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী অনুসারী স্থানীয়ভাবে পরিচিত।
এ বিষয়ে গিয়াস উদ্দীন কাদের চৌধুরী সময় সংবাদকে বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটেছে হাটহাজারী এলাকায়। সে আমার কর্মী নয়, পারিবারিক ভাবে সে আমার খুব আপন। সে কোনো রাজনীতি করে না। সে আমার খুবই আপন একজন।’
হত্যার কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কোনো একটা চক্রের স্বীকার সে। ২০১০ সাল থেকে সে আমাদের সাথে জড়িত। আমাদের ছেলেদেরকে আর্থিকভাবে সে সাহায্য করত। এটাই তার অপরাধ হতে পারে। সে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। তার বড় ফার্ম আছে। ব্যক্তিগত কোনো শত্রুতা আছে কিনা আমি জানি না।’
গত বছরের ৫ই আগস্টের পর থেকে রাউজানে আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, জায়গা দখলসহ নানা ইস্যুতে অর্ধশত সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ ঘটেছে সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার এর অনুসারীদের মধ্যে। এসব ঘটনায় মারা গেছেন অন্তত তেরো জন।
]]>