গত সপ্তাহে গাজামুখী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৪০টির বেশি জাহাজ সাগরে আটকে দেয় ইসরাইলি বাহিনী। সেই সঙ্গে জাহাজগুলোয় থাকা প্রায় ৪৭০ মানবাধিকারকর্মীকে আটক করে। এরপর আটক এসব অধিকারকর্মীকে ফেরত পাঠানো শুরু হয়।
ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার (৬ অক্টোবর) এক্স-এ এক ঘোষণায় জানায়, তারা ফ্লোটিলার জাহাজ থেকে আটক আরও ১৭১ জন অধিকারকর্মীকে ফেরত পাঠিয়েছে। এর ফলে এখন পর্যন্ত মোট ফেরত পাঠানো অধিকারকর্মীর সংখ্যা ৩৪১ জনে দাঁড়িয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গ্রিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে ফেরত পাঠানো অধিকারকর্মীদের মধ্যে ১৬১ জন সোমবার একটি ফ্লাইটে এথেন্সে পৌঁছান। এদের মধ্যে ২৭ জন গ্রীক এবং ১৩৪ জন অন্যান্য দেশের নাগরিক।
এথেন্স বিমানবন্দরে থুনবার্গ গাজায় ইসরাইলি সামরিক আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করে জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই। সেখানে গণহত্যা চলছে। আমাদের সরকারগুলো ফিলিস্তিনিদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। গাজায় সবচেয়ে খারাপ যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। কিন্তু তারা তা রোধ করছে না।’
আরও পড়ুন: গাজা ফ্লোটিলা থেকে আটক ১৩৭ জনকে তুরস্কে পাঠালো ইসরাইল
তিনি আরও বলেন, ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নিয়ে আমাদের যা করার লক্ষ্য ছিল তা হলো যখন আমাদের সরকারগুলো তাদের আইনি বাধ্যবাধকতা পালন করতে ব্যর্থ হয় তখন (জনগণের পক্ষ থেকে) পদক্ষেপ নেয়া।’
আটক অবস্থায় ইসরাইলি বাহিনী ২২ বছর বয়সি এই তরুণীর ওপর নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তুর্কি সাংবাদিক এবং সুমুদ ফ্লোটিলার অংশগ্রহণকারী এরসিন সেলিক এর আগে স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, থুনবার্গকে ‘মাটিতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল’ এবং ‘ইসরাইলি পতাকা চুম্বন করতে বাধ্য করা হয়েছিল’।
তবে ইসরাইল এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ফ্লোটিলাকে ‘পিআর স্টান্ট’ বলে উল্লেখ করেছে। তারা আরও বলেছে, আটক মানবাধিকারকর্মীদের আইনগত অধিকার রক্ষা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহু-পুতিন ফোনালাপে কী কথা হলো
এদিকে স্লোভাকিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে, ১০ জন নির্বাসিত ব্যক্তি তাদের দেশে এসে পৌঁছেছেন, যার মধ্যে একজন তাদের দেশের নাগরিক এবং অন্য ৯ জন নেদারল্যান্ডস, কানাডা ও মার্কিন নাগরিক।
]]>