বুধবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় আহত অবস্থায় তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। সুমন সদর উপজেলার মোহাম্মদপাড়ায় সুশীল বিশ্বাসের ছেলে।
এর আগে দুপুর ২টার দিকে শহরের পাচুরিয়া এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়।
আহত সুমনের মা নিপা বিশ্বাস বলেন, দুপুরে খবর পাই, আমার ছেলের শরীরে গুলি লেগেছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপর সদর হাসপাতালে গিয়ে তাকে দেখতে পাই। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেন।
আহত সুমন জানান, তিনি সদরের পাচুরিয়া এলাকার এনএসআই কোয়ার্টারের পেছনে একটি পানি সরবরাহকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। দুপুরে সংঘর্ষ দেখে কাজ ছেড়ে বাড়িতে চলে যাওয়ার জন্য বের হন। তবে সেখানে অনেক সংঘর্ষ চলছিল। এজন্য সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এমন সময় একটি গুলি এসে তার পেটের ডান পাশের পেছনের দিকে লাগে। গুলিটি বেরিয়ে যায় পেটের সামনের দিক দিয়ে৷ তখন ডান হাতের কনিষ্ঠ আগুলও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে রাত থেকে ২২ ঘণ্টার কারফিউ
জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, তার পেটের সামনে ও পাশে দুটি ক্ষত রয়েছে। এছাড়া ডান হাতের একটি আঙ্গুলও ক্ষত হয়েছে। তার অবস্থা গুরুতর। জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, সন্ধ্যার দিকে আহত অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।
‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র অংশ হিসেবে দুপুরে গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে সভা করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সভার আগে এনসিপির সমাবেশস্থলে ২০০-৩০০ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সমর্থকরা লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর করে, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে।
আরও পড়ুন: ব্লকেড উঠিয়ে নিয়ে রাজপথে অবস্থানের অনুরোধ এনসিপির
সভা শেষে এনসিপি নেতারা গাড়িতে উঠে সমাবেশস্থল ত্যাগ করার সময় গাড়িবহরে হামলা করা হয়। পুলিশ ও সেনাসদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। হামলাকারীরা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি লক্ষ্য করেও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
বিকেল ৪টার দিকে এনসিপি নেতারা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান নেন। সেখান থেকে তারা সেনাবাহিনীর সহায়তায় গোপালগঞ্জ ছেড়ে খুলনায় চলে যান।
]]>