গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি চাইলেন চরমোনাই পীর

৩ সপ্তাহ আগে
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ এবং গাড়িবহরে হামলায় অংশ নেয়া স্বৈরাচারের দালালদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)।

বুধবার (১৬ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই আহ্বান জানান তিনি।

 

বিবৃতে চরমোনাই পীর বলেন, গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের সার্বভৌম কর্তৃত্বের অধীনে থাকা একটি জেলা। সারা দেশ যখন একযোগে স্বৈরাচারী হাসিনাকে উৎখাত করেছে তখন গোপালগঞ্জে হাজার হাজার খুন, গুম ও হাজার কোটি টাকা পাচারকারী শক্তির পক্ষে কেউ প্রকাশ্য অবস্থান নিয়ে দেশপ্রেমিক ছাত্র নেতৃত্বের ওপর হামলা করবে এবং তাদের অবরুদ্ধ করে রাখবে তা মেনে নেয়া যায় না। দ্রুততার সঙ্গে অবরুদ্ধ নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং তাদের উদ্ধার করতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।’

 

জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিক সংগঠন এনসিপি জুলাই জুড়ে দেশব্যাপী পদযাত্রা করছে। সর্বত্র তারা জনগণের উষ্ণ অভিনন্দন ও ভালোবাসা পাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা গোপালগঞ্জে গিয়েছেন উল্লেখ করে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আজকে গোপালগঞ্জে যা হয়েছে তা লজ্জাজনক। একই সাথে প্রশাসনের ব্যর্থতাও বটে। অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ গোপালগঞ্জে এলে সেখানে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে এটা অনুধাবন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু আজকের ঘটনায় পরিষ্কার যে, প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। গোপালগঞ্জের পুলিস সুপারসহ দায়িত্বে নিয়োজিতদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন সহিংসতার সুযোগ করে দিল কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে ‘

 

আরও পড়ুন:  গোপালগঞ্জে কী হচ্ছে, প্রশ্ন জামায়াত আমিরের

 

তিনি আরও বলেন, ‘কোনো কোনো মিডিয়া হামলাকারী ফ্যাসিবাদের দোসরদের গ্রামবাসী, এলাকাবাসী বলে উল্লেখ করেছে। এর পেছনের কারণ সুস্পষ্ট। তারা বিশ্বকে বোঝাতে চায় যে, হাসিনার উৎখাতের আন্দোলন কোনো গণ-অভ্যুত্থান ছিল না। গ্রামবাসী এখনো হাসিনার জন্য রাস্তায় নামে। আদতে পুরোটা মিথ্যা বয়ান। যারা এনসিপির ওপর হামলা করেছে তারা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী। এদের আওয়ামী লীগের পান্ডা হিসেবেই প্রচার করতে হবে। যারা যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল তাদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’ 
ফ্যাসিবাদের পক্ষ হয়ে এখনো কেউ জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা করবে তা মেনে নেয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেন চরমোনাই পীর।

 

সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তির এই সময়েও স্বৈরাচারের দোসররা যে দুঃসাহস দেখিয়েছে তা সরকারের সামগ্রিক ব্যর্থতার বড় একটি দৃষ্টান্ত। পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার এবং এর সঙ্গে জড়িতদের বিচারের ধীরগতির কারণেই এরা আজকে এই সাহস করেছে। তাই বলবো, কেবল ঢাকায় গুটিকয়েকজনকে বিচারের আওতায় আনলে হবে না বরং সারা দেশে স্বৈরতন্ত্রের সঙ্গে জড়িত সবাইকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনুন। এই ধরণের দুঃসাহস জাতি আর দেখতে চায় না।’

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন