পরে তাদের ওপর হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর পরপরই এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন উপলক্ষে মাদারীপুরে নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মাদারীপুর জেলার প্রবেশদ্বার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট বন্দরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এছাড়াও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর, ঘটকচর, খাগদি, মোস্তফাপুর, পাথুরিয়ারপাড়সহ বিভিন্ন স্থানে র্যাব, সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতিও ছিল।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মাদারীপুরে বিক্ষোভ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) শীর্ষ নেতাদের মধ্যে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের সংগঠক মেহেরাব সিফাতসহ অনেকেরই মাদারীপুরে আসার কথা রয়েছে। শহরের স্বাধীনতা অঙ্গনে আয়েজিত সমাবেশে তারা বক্তব্যও রাখবেন বলে জানা গেছে।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হাছান জানান, ‘এনসিপির জুলাই পদযাত্রা অনুষ্ঠানকে ঘিরে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাড়তি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।’
প্রসঙ্গত, পূর্ব ঘোষিত অনুষ্ঠান হিসেবে মাদারীপুরে দুপুর তিনটায় উপস্থিত থাকার ছিল এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা। গোপালগঞ্জে হামলার ঘটনায় পরিবর্তণ হয় সময়ের। এদিকে শহরের স্বাধীনতা অঙ্গনে চলে হামলার প্রতিবাদ সমাবেশ। হামলার ঘটনায় দোষিদের বিচার দাবি করেন করা হয়।