বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেল পাঁচটায় শেরপুর–ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের অষ্টমীতলা পুলিশ লাইনের সামনে এই ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হয়।
এসময় সমাবেশে ছাত্ররা তুমি কে? আমি কে? রাজাকার, রাজাকার, কে বলেছে? কে বলেছে? স্বৈরাচার, স্বৈরাচার.….. গোপালগঞ্জে হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই, আওয়ামী লীগের আস্তানা এই বাংলায় রাখবো না, আওয়ামী লীগের কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও, আমার সোনার বাংলায় আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই, ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত করে তোলে কর্মসূচি এলাকা।
কর্মসূচি সম্পর্কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেরপুর জেলা শাখার মুখপাত্র ফারহান ফুয়াদ তুহিন বলেন, ‘আমরা দেখেছি কীভাবে গোপালগঞ্জে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে সাউন্ড সিস্টেম, চেয়ার, স্টেজ ভাঙচুর করেছে। পরে আবার এনসিপি নেতাদের গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। আমরা এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
আরও পড়ুন: এনসিপির সমাবেশে হামলা, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেরপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মামুনুর রহমান বলেন, ২৪ জুলাইয়ের গণআন্দোলনের পর যদি গোপালগঞ্জে ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কার্যকরী পদক্ষেপ নিত, তাহলে আজকের এ হামলার ঘটনা ঘটত না। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ না করা হলে এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। আর জনগণের ভোগান্তি বিবেচনায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় আপাতত এ ব্লকেড তুলে দেওয়া হচ্ছে।
শেরপুর জেলা এনসিপির সদস্য রাশেদ বলেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির জাতীয় নেতৃবৃন্দের ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় আমাদের এই কর্মসূচি। আমরা এই সন্ত্রাসী সংগঠনের বিচার চাই।
]]>