ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ‘শান্তির প্রেসিডেন্ট’ (দ্য পিস প্রেসিডেন্ট) হিসেবে ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস। যদিও ট্রাম্প নিজেই ‘সাত’ বৈশ্বিক সংঘাত নিরসনের দাবি করলেও, নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে তিনি সন্দিহান বলেই মনে করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লির অস্বীকৃতি সত্ত্বেও, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার’ জন্য বারবার কৃতিত্ব গ্রহণকারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, নোবেল কমিটি তাকে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতির (নোবেল পুরস্কার) জন্য বিবেচনা না করার ‘একটি কারণ খুঁজে বের করবে’। তবে এই স্বীকৃতি তার পাওয়া উচিত বলেই মনে করেন ট্রাম্প।
শুক্রবার ঘোষণা হতে যাওয়া নোবেল পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা সম্পর্কে হোয়াইট হাউসে এক সাংবাদিকের প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন,
আমার কোনো ধারণা নেই... মার্কো (পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিও) আপনাকে বলবেন যে আমরা সাতটি যুদ্ধের মীমাংসা করেছি। আমরা অষ্টম যুদ্ধের মীমাংসার কাছাকাছি পৌঁছে গেছি। আমার মনে হয় আমরা রাশিয়ার পরিস্থিতিরও মীমাংসা করে ফেলব।
ইসরাইল-হামাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি স্থাপনের জন্য ওয়াশিংটনের প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় না ইতিহাসে কেউ এতগুলো যুদ্ধের মীমাংসা করতে পেরেছে।’
আরও পড়ুন: ট্রাম্প কি শান্তিতে নোবেল পাবেন?
বেশ কয়েকটি দেশ ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করলেও, মার্কিন প্রেসিডেন্টের মতে, ‘তারা (নোবেল কমিটি) হয়তো আমাকে এটি না দেয়ার কোনো কারণ খুঁজে পাবে।’
এদিকে ট্রাম্প তার নোবেল জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে সন্দিহান হলেও, একধাপ এগিয়ে গেছে হোয়াইট হাউস। তাদের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ট্রাম্পের একটি ছবি শেয়ার করে লেখা হয়েছে ‘শান্তির প্রেসিডেন্ট’ (দ্য পিস প্রেসিডেন্ট)।
যদিও অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, নোবেল কমিটির পছন্দের তালিকায় হয়তো ট্রাম্প থাকবেন না– অন্তত এই বছর।
আন্তর্জাতিক-বিষয়ক বিশেষজ্ঞ সুইডিশ অধ্যাপক পিটার ওয়ালেনস্টিন আন্তর্জাতিক একটি সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন,
না, এই বছর ট্রাম্প থাকবেন না (নোবেল কমিটির তালিকায়)। তবে হয়তো পরের বছর? তখন হয়তো তাঁর নানা উদ্যোগ, বিশেষ করে গাজা সংকট নিয়ে পদক্ষেপের বিষয়ে ধোঁয়াশা কেটে যাবে।
ট্রাম্পের ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার’ দাবিগুলোকে অতিরঞ্জিত বলেও মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ এবং তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির পরিণতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত ইসরাইল-হামাস
অসলো পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান নিনা গ্রেগার বলেন,
গাজায় শান্তি আনার প্রচেষ্টার বাইরেও আমরা (ট্রাম্পের) এমন অনেক নীতি দেখেছি, যা নোবেলের (আলফ্রেড নোবেল) উইলে লেখা উদ্দেশ্যের পরিপন্থি। সেই উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, জাতির ভ্রাতৃত্ব ও নিরস্ত্রীকরণ উৎসাহিত করা।
ট্রাম্পের যেসব পদক্ষেপ নোবেল শান্তি পুরস্কারের নীতির সঙ্গে মেলে না, তার তালিকাও বেশ লম্বা বলে মত গ্রেগারের।
]]>