সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববারের হামলায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন গাজা সিটিতে মারা গেছেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে আরও দুই ফিলিস্তিনি অপুষ্টিতে মারা গেছেন বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। ইসরাইলের চলমান যুদ্ধ শুরুর পর থেকে শুধু ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২২ জনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ইসরাইলি বিমান হামলায় কেঁপে ওঠে গাজার উত্তরাঞ্চল। রেমাল ও তেল আল-হাওয়া এলাকায় ব্যাপক বিস্ফোরণে ধ্বংস হয় অন্তত ৩০টি আবাসিক ভবন। প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, নতুন করে অঞ্চলটি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে হাজার হাজার মানুষকে। নিরাপদ আশ্রয়ের খোজেঁ ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: ইসরাইলকে শাস্তি দিতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান কাতারের প্রধানমন্ত্রীর
স্থানীয়রা বলছেন, খাবার ও পানির সংকট দিন দিন আরো প্রকট হচ্ছে। বিশেষভাবে ভোগান্তিতে বয়স্ক ও অসুস্থরা। ইউএন আর ডব্লিউএ জানায়, গাজায় ইসরাইলি বর্বরতায় দক্ষিণাঞ্চলে ঠেলে দেয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
সংঘাতের মধ্যেই রোববার ইসরাইল সফরে গেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বাকি বন্দিদের মুক্তি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদির ওপর দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে দোহায় হামলা চালায় ইসরাইল
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইসরাইলে পৌছেঁই বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে নিয়ে জেরুজালেমের পশ্চিম প্রাচীর পরিদর্শন করেন মার্কো রুবিও। এসময় রুবিওর এ সফর দুই দেশের সম্পর্ককে পশ্চিম দেওয়ালের পাথরের মতোই শক্তিশালী ও টেকসই করেছে বলে মন্তব্য করেন নেতানিয়াহু। গণমাধ্যমে রুবিও কে ইসরাইলের অসামন্য বন্ধু আখ্যা দেন তিনি।
]]>