গাইবান্ধায় জামায়াত নেতা হত্যা মামলার মূল আসামি গ্রেফতার

২১ ঘন্টা আগে
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাইহাট ইউনিয়নের জামায়াত নেতা ও বিকাশ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘটন এবং মূল আসামি মো. রিফাত মণ্ডল সৌরভকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো ছুরি ও নিহত নজরুল ইসলামের দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

সোমবার (১৮ আগস্ট) সকালে গাইবান্ধা জেলা শহরের একটি ছাত্রাবাস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


গ্রেফতার রিফাত মণ্ডল সৌরভ একই গ্রামের মো. সামিউল ইসলামের ছেলে ও স্থানীয় নাকাইহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।


গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম জানান, রোববার (১৭ আগস্ট) সকালে মরদেহ উদ্ধারের পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে ঘটনার মূল আসামি একই গ্রামের মো. রিফাত মণ্ডল সৌরভকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতা হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার


তিনি জানান, ঘটনার রাতে গ্রেফতার সৌরভ নিহত নজরুল ইসলামকে পাওনা ১১০০ টাকা পরিশোধ করতে চেয়ে ফোন করে ডাকে। নজরুল ইসলাম দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে সৌরভের সঙ্গে দেখা হয়। তখন তারা দুজন কথা বলার একপর্যায়ে সৌরভ ক্লোরোফোম মিশানো রুমাল বের করে নজরুলের মুখ চেপে ধরে। এতে নজরুল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে টেনে রাস্তার পাশে নিয়ে গিয়ে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের ২টি মোবাইল নিয়ে যায় সৌরভ।


সোমবার সৌরভকে আটকের পর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সে এলাকার একটি পুকুর থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি ও নিহত নজরুল ইসলামের বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের ২টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।


রোববার রাতে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন নাকাই ইউনিয়নের শীতল গ্রামের মৃত তফেজ্জল হোসেনের ছেলে ও স্থানীয় বাজারের বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ী এবং জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের নাকাই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি নজরুল ইসলাম। সকালে বাড়ির অদূরে তার মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা।

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন