দেশে সরকার অনুমোদিত ২৪টি স্থলবন্দরের মধ্যে সচল আছে ১৩টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্যের চাহিদা বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর পথে। তবে দুর্বল অবকাঠামোর কারণে চাহিদা মতো পণ্য আমদানি করতে পারতেন না ব্যবসায়ীরা। এ ক্ষেত্রে তাদের দাবি ছিল, বেনাপোল ও পেট্রাপোল বন্দরে উন্নয়নের। অবশেষে দুই দেশের সরকার বাণিজ্যিক গুরুত্ব বিবেচনা করে হাত দেয় অবকাঠামো উন্নয়নে।
বর্তমানে বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি ও রফতানির পরিমাণ কমলেও বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের সীমান্তে একের পর এক অবকাঠামোর উন্নয়ন কাজ চলছে। ৩২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪১ একর জড়িতে নির্মিত কার্গো ভেহিকেল টার্মিনালটি গত ১৪ নভেম্বর উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তী সরকার। আর বুধবার (২৭ নভেম্বর) এই টার্মিনালের সঙ্গে শূন্য রেখায় নির্মাণ করা ফোর লেনের ভারতীয় গেট খুলে দেয় পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক দ্রুত পার হয়ে আসছে বেনাপোল বন্দরে এবং একই সময়ে রফতানি পণ্য যাচ্ছে ওপার পেট্রাপোল বন্দরে।
আরও পড়ুন: রফতানি পণ্যে বৈচিত্র্য নেই, প্রশ্নবিদ্ধ ইপিবি!
ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাকচালক অনিক দাস বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে এপারে পৌঁছে বলেন,
শূন্য রেখায় ফোর লেনের গেট চালু করে দেয়ায় সহজে বন্দরে ঢুকতে পেরেছি। এসে আগামী দিনে আমদানি ও রফতানির পরিমাণ বাড়বে বলে মনে করছি। তবে বৃহৎ দুই টার্মিনালে হিন্দু ও মুসলিমের জন্য ধর্মীয় উপাসনার স্থান থাকলে ভালো হত।
বেনাপোল আমদানি ও রফতানি সমিতির সেক্রেটারি জিয়াউর রহমান বলেন, আগে দুই লেন সড়কে পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশে যানজটে দির্ঘ সময় লাগতো। এখন বাণিজ্যিক সুবিধা বাড়ায় বর্তমানে প্রতিদিন এ পথে আমদানির পরিমাণ ৪০০ থেকে ৫০০ ট্রাকের মতো। ভারতে রফতানি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকের কাছাকাছি।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য কমে গেছে নওয়াপাড়া নৌবন্দরে, রাজস্ব কমার আশঙ্কা
বেনাপোল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক কাজি রতন বলেন, বুধবার সকালে কাস্টমস, বিজিবি ও বিএসেফের উপস্থিতিতে ভারতীয় গেট চালু করা হয়েছে। এই গেল চালু বাণিজ্য সম্প্রসারণে বড় ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে বছরে এ রুটে আমদানি পণ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আসে ৭ হাজার কোটি টাকা। সামনের বছর এর পরিমাণ দ্বিগুণ বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, বৈধ পণ্যের সঙ্গে কোনো আমদানি নিষিদ্ধ পণ্য প্রবেশ না কর শূন্য রেখার ওপারে বিজিবি, এ পারে বিএসএফ ও বন্দরের নিরাপত্তা কর্মীরা নিরাপত্তায় কাজ করছেন।
]]>