সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে অধিদফতরের খুলনা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. সেলিমের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত মে মাসে লাজ ফার্মা থেকে চর্মরোগের একটি বিদেশি মলম কিনে প্রতারিত হন এক ভোক্তা। পরে তিনি ভোক্তা অধিদফতরে অভিযোগ করেন। বিষয়টি লাজ ফার্মাকে জানালে তারা জানায়, ওষুধটি সরবরাহ করেছে অ্যাডোরোবেলা হেলথ কেয়ার।
সোমবার ওই প্রতিষ্ঠানের এক কর্মী পুনরায় একই ওষুধ সরবরাহ করতে এলে লাজ ফার্মা কর্তৃপক্ষ ভোক্তা অধিদফতরকে খবর দেয়। পরে অভিযান চালিয়ে নকল ওষুধ সরবরাহের সত্যতা পাওয়া যায়।
এ সময় নকল ওষুধ বিক্রির অভিযোগে লাজ ফার্মাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে জরিমানার টাকা পরিশোধ করে অ্যাডোরোবেলা হেলথ কেয়ার।
আরও পড়ুন: খুলনায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই, গ্রেফতার ৩
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. সেলিম বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে অ্যাডোরোবেলা হেলথ কেয়ার বিভিন্ন ফার্মেসিতে নকল ওষুধ সরবরাহ করে আসছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য লাজ ফার্মাকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নকল এ ওষুধ শরীরে নানা রোগ ছড়িয়ে দিতে পারে। তাই অন্য কোনো ফার্মেসিতে এ ওষুধ মজুদ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
অ্যাডোরোবেলা হেলথ কেয়ারের মেডিকেল প্রমোশন অফিসার তানভীর আহমেদ বলেন, ‘নকল ওষুধটি সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। আমরা এখন সরবরাহ বন্ধ রেখেছি।’
লাজ ফার্মার ম্যানেজার মঈন উদ্দিন বলেন, ‘গ্রাহকের অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা গত দুই মাস ধরে ওষুধটি গুদামে সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম। আজ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি সরবরাহ করতে এলে আমরা ভোক্তা অধিদফতরকে খবর দিই।’
]]>