অনুষ্ঠানে উপস্থিত অনেকে বিষয়টি দেখে বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান। তাদের অভিযোগ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়কার লিফলেটই ভুলবশত নয়, বরং অবহেলাবশত বিতরণ করা হয়েছে। এতে সরকারি সংস্থার ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ।
অংশগ্রহণকারী প্রকৌশলী মাহমুদ আলম বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের পরও কেডিএ’র মতো সংস্থা পুরোনো রাজনৈতিক ছাপ বহন করে এমন লিফলেট বিতরণ করবে এটা মেনে নেয়া যায় না। এটা শুধুই ভুল নয়, অবহেলারও উদাহরণ। সরকারি অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত সব উপকরণ যাচাই করা উচিত।’
আরও পড়ুন: দশ দিনের জন্য খুলনাঞ্চলের পাঁচ জেলার পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
লিফলেটে খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা শাখা লেখা থাকলেও পরিকল্পনা কর্মকর্তা তানভীর আহম্মেদ জানিয়েছেন, লিফলেট তৈরির বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। তার ভাষায়, ‘আমি লিফলেট কমিটিতে ছিলাম না। তাই এর কোনো দায়ভার আমি নিতে পারবো না। ভুল হয়েছে কি না, সেটা যারা এর সঙ্গে জড়িত, তাদের কাছে জানতে পারেন।’
তবে কর্তৃপক্ষের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, এটি পুরোপুরি অনিচ্ছাকৃত ঘটনা। ভুলবশত পুরোনো কিছু লিফলেট বিতরণ হয়ে গেছে। আমরা এর জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।
আরও পড়ুন: খুলনায় প্রতিমা বিসর্জন দিতে যাওয়া বহরে বাসের ধাক্কা, আহত ৫
কেডিএ চেয়ারম্যান আরও জানান, এই ঘটনায় কারও গাফিলতি থাকলে তাকে চিহ্নিত করে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে কেডিএ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিল র্যালি, আলোচনা সভা ও কুইজ প্রতিযোগিতা। পুরো আয়োজন ঘিরে প্রশংসার পাশাপাশি এই লিফলেট বিতরণ ঘটনাটি এখন খুলনার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
]]>