সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মাস্টারদা সূর্যসেন হল, মুহসীন হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের মতো পুরনো হলগুলোর খুবই জরাজীর্ণ অবস্থা। একেকটা হল যেন মৃত্যুফাঁদ। মুহসীন হলের কিছু কক্ষের অবস্থা এতটাই খারাপ, রয়েছে মৃত্যু ঝুঁকিও।
হলগুলোর এই দূরাবস্থা হঠাৎ করে আলোচনায় আসে সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাতে মুহসীন হলের এক শিক্ষার্থীর মাথায় পলেস্তারা খসে পড়লে। রাত দেড়টার দিকে হলের ২০৪ নম্বর কক্ষে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ হাসানের মাথায় ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। আঘাত পেলে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে।
মশারি টাঙানো থাকায় এ যাত্রায় বেঁচে যান মাসুদ হাসান। বলেন, এ ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। আতঙ্কে ঘুমাতেও পারছেন না।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হল থেকে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তারা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন।
১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর জগন্নাথ হলের একটি রুমের ছাদ ধসে পড়ে মারা যান অন্তত ৪০ জন। আহত হন শতাধিক। সেই ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে দ্রুত হলের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করে সংস্কার ও নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কার করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ নাজমুল আহসান বলেন, সাময়িকভাবে হল সংস্কার করলেও এটি এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ যে, তা পুননির্মাণের বিকল্প নেই। হল সংস্কার করা মানে অর্থ ও সময়ের অপচয় করা। এখনই নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া উচিৎ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে সিলগালা করা হবে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষগুলো। তিনিও হল নির্মাণ ও হল সংস্কারের কথা জানিয়েছেন।