হজরত মুসা (আ.)-এর যুগে বনি ইসরাইলকে ফিলিস্তিনে প্রবেশের আদেশ দেয়া হয়েছিল। মুসা (আ.) তাদের বলেছিলেন,
হে আমার সম্প্রদায়, পবিত্র ভূমিতে প্রবেশ করো, যা আল্লাহ তোমাদের জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছেন এবং তোমরা পৃষ্ঠ প্রদর্শন কোরো না। অন্যথায় তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। (সুরা মায়িদা: ২১)
অবশ্য বনি ইসরাইলরা তখন এ আদেশ অমান্য করে এবং মুসা (আ.)-কে বলে,
আপনি ও আপনার রব যুদ্ধ করুন; আমরা এখানে বসে থাকব।
আরও পড়ুন: দেনমোহর যেভাবে সহজ করতেন নবীজি
আল্লাহর নবী হজরত ইবরাহিম ও লুত (আ.)-কে আল্লাহ ফিলিস্তিনে হিজরতের কথা বলেছিলেন। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ বলেন,
আমি তাকে ও লুতকে উদ্ধার করে সে দেশে পৌঁছিয়ে দিলাম, যেখানে আমি বিশ্বের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ রেখেছি। (সুরা আম্বিয়া: ৭১)
আরও পড়ুন: গর্ভবতী নারীর সিজদা করার পদ্ধতি
হজরত সোলায়মান (আ.)-এর ঘটনায়ও ফিলিস্তিনকে বরকতময় ভূমি বলা হয়েছে। কোরআনে বলা হয়েছে,
আমি প্রবল বায়ুকে সোলায়মানের অধীন করে দিয়েছিলাম; তা তার আদেশে প্রবাহিত হতো ওই দেশের দিকে, যেখানে আমি বরকত দান করেছি। (সুরা আম্বিয়া: ৮১)
আরেক এক আয়াতে এসেছে, ‘আর যাদের দুর্বল মনে করা হতো, তাদেরও আমি উত্তরাধিকার দান করেছি এ ভূখণ্ডের পূর্ব ও পশ্চিম অঞ্চলের, যাতে আমি বরকত সন্নিহিত রেখেছি। আর বনি ইসরাইলের ধৈর্যধারণের দরুন পরিপূর্ণ হয়ে গেছে তোমার পালনকর্তার প্রতিশ্রুত কল্যাণ।’ (সুরা আরাফ: ১৩৭)
]]>