বিপিএলে এবার দল কিনেছে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। তার মালিকানাধীন ঢাকা ক্যাপিটালস চলতি আসরে এখন পর্যন্ত শুরুর সবগুলো ম্যাচই হেরেছে। স্বাভাবিকভাবেই পয়েন্ট টেবিলের একেবারে তলানিতে আছে দলটি।
ঘরের মাঠ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথম পর্বের তিন ম্যাচেই হেরেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। বিপিএলের দ্বিতীয় পর্বে চায়ের দেশ সিলেটেও ভাগ্য সহায় হলো না ঢাকার। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের কাছে তারা হেরে গেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটের টানা তৃতীয় হার; হৃদয়-মায়ার্স ঝড়ে বরিশালের বড় জয়
এখন পর্যন্ত যে চারটি ম্যাচ ঢাকা খেলেছে, তার একটিতেও লড়াই করতে পারেনি তারা। প্রতিপক্ষের সামনে যেন অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে ঢাকা। একের পর এক ম্যাচ হার দলটির প্রধান কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনই বা হজম করেন কীভাবে?
বিপিএলে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রধান কোচ হিসেবে এ নিয়ে টানা ১৫ ম্যাচে হারলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তবে বিপিএলে এর আগে কোনও কোচ টানা এতগুলো ম্যাচ হারেনি। বিশ্বের আর কোনও দেশে এমন নজির আছে কি না তাও অজানা।
গত বছরের বিপিএল থেকে শুরু হয় তার ম্যাচ পরাজয়ের ধারা। সেবারও তিনি ঢাকার আরও একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি দুর্দান্ত ঢাকার প্রধান কোচ ছিলেন। জয় দিয়ে সেই আসর শুরু করলেও পরে টানা ১১ ম্যাচেই হেরেছিল দলটি। সেবারও পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
আরও পড়ুন: গ্লাভস হাতে নতুন ভূমিকায় শান্ত
২০১২ সালে বিপিএলের উদ্বোধনী আসর থেকেই কোচিংয়ে যুক্ত আছেন খালেদ মাহমুদ সুজন। প্রথম আসরে ছিলেন চিটাগং কিংসের প্রধান কোচ। ছয় দলের সেই টুর্নামেন্টে পঞ্চম অবস্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। পরের বছর বরিশাল বার্নার্সের সহকারী কোচের দায়িত্বে ছিলেন। সাত দলের সেই আসরে দলটি আসর শেষ করে ষষ্ঠ স্থানে থেকে।
২০১৬ সালে বিপিএলে খালেদ মাহমুদের কোচিংয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ঢাকা ডায়নামাইটস। কিন্তু ৯ বছর আগের সেই আসরের পর থেকে বিপিএলে তার দলের পারফরম্যান্স একেবারেই বাজে।
এর আগেও অবশ্য টানা ১৫ হারের অভিজ্ঞতা আছে খালেদ মাহমুদ সুজনের। ২০০৩ সালে তার অধিনায়কত্বে টানা ১৫ ওয়ানডে ম্যাচ হেরেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে কমপক্ষে ১০ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এমন অধিনায়কদের মধ্যে শুধু খালেদ মাহমুদেরই জয় নেই। একই বছর তার নেতৃত্বে ৯ টেস্টের সবগুলোতেই হেরেছিল টাইগাররা।
]]>