কৃষকদের হারভেস্টার মেশিন না দিয়ে শুধু ছবিই তুলেছে কৃষি কর্মকর্তারা!

৩ সপ্তাহ আগে
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রাথমিক ভাবে এর সত্যতাও পায় দুদক।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুদক বাগেরহাট জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল ঘণ্টাব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেন।

 

এ সময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে বিতরণ করা ১১টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পায় দুদক। খাতা কলমে ভর্তুকি মূল্যে মেশিন বিতরণের রেকর্ড থাকলেও, মেশিনগুলো কোথায় আছে, কোন কৃষক ব্যবহার করছে সেসব বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারেনি কৃষি কর্মকর্তারা।

 

এসময় সাবেক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন।

 

আরও পড়ুন: রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের অনিয়ম হাতেনাতে ধরল দুদক

 

দুদক কর্মকর্তা মো. সাইদুর রহমান বলেন, ২০২১-২০২২ ও ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে সরকারিভাবে ৭০ শতাংশ ভর্তুকী মূল্যে উপজেলার সাধারণ কৃষকদের মাঝে স্বল্প সময়ে ধান কাটার সুবিধার্থে ১৪ টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার (ধানকাটা ও রোপনের স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র) বিতরণ করা হয়। এর প্রতিটি মেশিনের মূল্যে ধরা হয়েছে ৩০ লাখ থেকে ৩২ লাখ টাকা। এর মধ্যে কৃষক বহন করেছে ৯ লাখ টাকা। বাকি টাকা সরকার ভতুর্কি দিয়েছেন।

 

কাগজে কলমে ১৪টি মেশিন বিতরণ দেখানো হলেও বাস্তবে ১১ টি মেশিনের কোনো হদিস মিলছে না। তালিকাপ্রাপ্ত সুবিধাভোগী অনেকেই বলছেন, তাদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে তালিকায় নাম সংযুক্ত করে বিতরণের ছবি তুলেই শেষ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে টাকাও নেয়নি, আবার মেশিনও দেয়নি।

 

আরও পড়ুন: দুদকের তদন্ত হবে এক্সরে রিপোর্টের মতো: দুদক কমিশনার

 

মেশিনগুলো ভর্তুকি মূল্যে কাদের দেয়া হয়েছে, তার সঠিক জবাব দিতে পারেনি কৃষি কর্মকর্তারা।

 

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এ মেশিন বিতরণের অনিয়ম প্রমানিত হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরও কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা আমরা তদন্ত করে প্রতিবেদন তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পাঠাবো।

 

]]>
সম্পূর্ণ পড়ুন