সোমবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের পদ্মার পাড়ের একটি বাগান থেকে ওই মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত হৃদয় কুমারখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এলংগী এলাকার ভ্যানচালক ইউনুস শেখের ছেলে।
স্বজনদের অভিযোগ, ভ্যান ছিনিয়ে নিয়ে হৃদয়কে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড্রাগন বাগানে রোহিঙ্গা যুবকের গলাকাটা মরদেহ, পুলিশ বলছে পরিকল্পিত হত্যা
নিহত হৃদয়ের চাচা ফিরোজ শেখ বলেন, ‘রোববার বিকেলে ভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি হৃদয়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে সকালে থানায় যান। পরে খবর পেয়ে পদ্মার চরে গিয়ে দেখি ভাতিজার গলাকাটা মরদেহ।’
গ্রাম পুলিশ নিমাই ঘোষ বলেন, ‘স্থানীয়রা ঘাঁস কাটতে গিয়ে মরদেহ দেখে আমাকে খবর দেন। এরপর দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ছবি তুলে পুলিশকে খবর দেই।’
আরও পড়ুন: নাইক্ষ্যংছড়িতে রোহিঙ্গা যুবকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, শুধু মাত্র ভ্যান চুরির জন্য একজন ছোট মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে। সেজন্য আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘নিখোঁজের পরদিন খবর পেয়ে হৃদয় আলী নামে এক ভ্যানচালকের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভ্যান ছিনিয়ে নিয়ে তাকে গলাকেটে হত্যা করা করা য়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’