সোমবার (২০ অক্টোবর) হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে, পট্টনায়েক বলেন, ‘কানাডায় ভারতীয় নাগরিকরা নিরাপদ বোধ করছেন না এবং তার মতো একজন হাই কমিশনারের নিরাপত্তার প্রয়োজন হওয়া অস্বাভাবিক বলে তিনি মনে করেন। কানাডা এই পরিস্থিতিকে ভারতীয় সমস্যা হিসেবে দেখতে পারে না। এটি একটি কানাডিয়ান সমস্যা। কিছু কানাডিয়ান আছেন যারা এই সমস্যা তৈরি করছেন।’ সাক্ষাৎকারে সিটিভি নিউজকে বলেন পাটনায়েক।
আরও পড়ুন:পদত্যাগ করা লেকর্নু আবারও ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী
কানাডায় খালিস্তানপন্থি চরমপন্থার কথা উল্লেখ না করেই, পট্টনায়েক আরও বলেন, যেখানে একদল লোক সন্ত্রাস করছে, সম্পর্ককে জিম্মি করে রাখছে... আমরা তাদের সাথে কীভাবে মোকাবিলা করব? আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিই বা কীভাবে মোকাবেলা করব?"
কানাডা থেকে ভারতীয় নাগরিকদের বহিষ্কারের সংখ্যা বৃদ্ধির খবরের মধ্যে পট্টনায়েকের এই মন্তব্য এলো। ২০২৪ সালে ১,৯৯৭ জন ভারতীয়কে জোরপূর্বক বহিষ্কারের শিকার হতে হয়েছিল, যা ২০১৯ সালের ৬২৫ জনের পরিসংখ্যান থেকে এক বিরাট বৃদ্ধি।
কানাডিয়ান বর্ডার সার্ভিসেস এজেন্সি (সিবিএসএ) থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ১,৮৯১ জন ভারতীয়কে দেশ ত্যাগ করতে বলা হয়েছিল, যা ইঙ্গিত দেয় যে এই বছরের মোট সংখ্যা গত বছরের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি সম্প্রতি বলেছেন, ‘বিদেশি অপরাধীদের বহিষ্কার দ্রুত করার পরিকল্পনা রয়েছে । এটি কানাডায় অভিবাসন ব্যবস্থায় আমরা যে বিস্তৃত সংস্কার করছি তার একটি অংশ।’
এদিকে, দীনেশ পট্টনায়েক ভারত-কানাডা সম্পর্কের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মার্ক কার্নি কীভাবে খুব বড় ভূমিকা পালন করছেন সে সম্পর্কেও কথা বলেছেন। দুটি বৃহৎ দেশকে বেশিদিন আলাদা রাখা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন পট্টনায়েক।
গত বছর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ২০২৩ সালে হরদীপ নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার অভিযোগ করার পর ভারত-কানাডার কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তবে, ট্রুডো কূটনৈতিক সম্পর্ক ধ্বংস করেছেন কিনা জানতে চাইলে, পট্টনায়েক বলেন, আমি মনে করি না যে কোনো সম্পর্ক একজন ব্যক্তির দ্বারা ধ্বংস হতে পারে।
আরও পড়ুন:ইসরাইলকে গাজা যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি রক্ষার আহ্বান এরদোয়ানের
উত্তেজনা স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে, ভারত ও কানাডা আগস্ট মাসে সিনিয়র কূটনীতিক দীনেশ পট্টনায়েক এবং ক্রিস্টোফার কুটারকে একে অপরের রাজধানীতে তাদের নিজ নিজ হাইকমিশনার হিসেবে মনোনীত করেছে।

২ সপ্তাহ আগে
৪








Bengali (BD) ·
English (US) ·