আলু উৎপাদনের অন্যতম শীর্ষ জেলা মুন্সীগঞ্জ। এখানকার বাজারগুলোতে ওঠেছে নতুন আলু। এরপরও বিক্রি হচ্ছে আগুন দরেই। প্রতি কেজি পুরনো আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। নতুন আলুর দর ১২০ টাকা। আর বীজ থেকে কেটে রাখা আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৮ থেকে ৫৫ টাকায়।
জেলার ৫৮ হিমাগারে এখনো মজুত রয়েছে ৬২ হাজার মেট্রিক টন আলু। এর মধ্যে ৩১ হাজার মেট্রিক টনই খাবারের। এরপরও বাজারে এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেন ভোক্তারা। তাদের দাবি, বাজার নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ভাঙাসহ মজুতদারদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাজারে নতুন আলু, তবুও কেন কমছে না দাম?
বাজার মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জানান, সিন্ডিকেট ভাঙতে সার ও বীজ সহজলভ্য করা দরকার। মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সামির হোসেন সিয়াম বলেন, ভোক্তাদের যেমন টিসিবি তথা ওএমএসের মাধ্যমে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে, সেটি কৃষকদের সার ও বীজ কেনাতেও দেয়া উচিত। এতে উৎপাদন খরচ কমবে।
কৃষি বিভাগ বলছে, বেশিরভাগ কৃষকই পুঁজির অভাবে আলু সংরক্ষণ করতে পারছেন না। এর ফায়দা লুটছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, বেশিরভাগ কৃষই দরিদ্র। টাকার অভাবে তারা আলু সংরক্ষণ করতে পারে। ফলে ফায়দা লুটে মধ্যস্বত্বভোগীরা। তাদের কারণে দাম বাড়ছে আলুর।
উল্লেখ্য, গত মৌসুমে মুন্সীগঞ্জে ১০ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৫ মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছিল। এবার ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমির লক্ষ্য নিয়ে আলু রোপণ চলছে।
]]>