নাটোর শহরের বৃহত্তম সবজির পাইকারি স্টেশন বাজার। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সরজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে আগাম শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়েছে। ফলে গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা দামে কমেছে।
বাজারে পাইকারিতে প্রতি পিস ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। এছাড়া প্রতি কেজি বেগুন ৭০-৮০ টাকা, শিম ৪৫-৫৫ টাকা, পেঁপে ১০ টাকা ও পালং শাক ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস বাঁধাকপি ৩৫-৪০ টাকা ও লাউ ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে খুচরা পর্যায়ে এসব সবজির দাম পাইকারি দামের চেয়ে ১৫-২০ টাকা বেশি। আগাম শীতকালীন সবজি এখনও নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। ক্রেতা সোহরাব জানান, পেঁপে ও লাউ ছাড়া কোনো সবজিই দাম নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নেই।
আরও পড়ুন: সরবরাহ বাড়ায় মেহেরপুরে শীতকালীন সবজির দাম নেমেছে অর্ধেকে
আরেক ক্রেতা সাইদুর রহমান বলেন, ‘গত সপ্তাহে ফুলকপি খুচরা পর্যায়ে ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। এই সপ্তাহের শেষে তা নেমে ৬০ টাকায় এসেছে। শিম, বরবটি ও বাঁধাকপির দাম একইভাবে কমতে হবে; যেন সব ক্রেতা কিনতে পারে।’
কৃষকরা বলছেন, পেঁপে ও লাউতে লোকসান হলেও অন্যান্য সবজিতে লাভ হচ্ছে। চাষি নূর মোহাম্মদ বলেন, ‘লাউয়ের দাম কমে যাওয়ায় সার ও কীটনাশকের খরচও উঠবে না।’
আরেক কৃষক লিটন বলেন, ‘ফুলকপি, শিম ও বেগুনের দাম ভালো থাকার কারণে লাভের মুখ দেখছি।’
আড়তদার আরফুল ইসলাম বলেন, ‘লাউ ও পেঁপের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। ফুলকপি, শিম ও বেগুনের পর্যাপ্ত সরবরাহ হতে কমপক্ষে দুই সপ্তাহ লাগবে। তাই দুই সপ্তাহের আগে দাম নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা নেই।’
]]>
৩ ঘন্টা আগে
২






Bengali (BD) ·
English (US) ·